শিকেয় কোভিড বিধি! পুণ্য অর্জনে কুম্ভে চলছে শাহি-স্নান

গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৩৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখের গণ্ডি পার করেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক রাজ্য জারি করছে নৈশ কার্ফু বা লকডাউন। এই পরিস্থিতিতেই সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র দেখা গেল উত্তরাখণ্ডে। মুখে মাস্ক নেই, সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই, কুম্ভমেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন।

গত ১ এপ্রিল থেকে হরিদ্বারে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। আগামী ৩০ এপ্রিল অবধি চলবে এই মেলা। প্রতি ১২ বছর অন্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে দীর্ঘ চার মাস ধরে চলত কুম্ভ মেলা। তবে এ বার করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই সেই সময়সীমা কমিয়ে এক মাস করা হয়েছে।

এপ্রিল থেকে শাহি পুণ্যস্নান শুরু হলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সাধু-সন্ন্যাসীরা ভিড় জমিয়েছে হরিদ্বারে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। গত মাসেই কেন্দ্রীয় দল রাজ্য পরিদর্শনে যায়। জমা দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়, প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ জন পুণ্যার্থী ও একইসংখ্যক স্থামীয় বাসিন্দারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। এই বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্যসচিবকেও চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।

আরও পড়ুন: সেই পুরোনো ছক, মন্দির খুঁজতে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আদালতের

রাজ্য সরকারের তরফে কুম্ভস্নানে অংশ নিতে আসা পুণ্যার্থীদের বাধ্যতামূলক করোনার নেগেটিভ রিপর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হলেও গঙ্গার ঘাটে সেই নিয়মবিধিকে রোজই বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে আগত দর্শনার্থীরা। সামাজিক দূরত্বের কথা ভুলে একে অপরের গায়ের উপর উঠেই গঙ্গায় ডুব লাগিয়ে পুণ্য অর্জন করছেন তারা।

এই বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ইন্সপেক্টর জেনারেল সঞ্জয় গুঞ্জল জানান, তাঁরা আগত দর্শনার্থীদের বারবার করোনাবিধি অনুসরণ করার অনুরোধ জানালেও গঙ্গার ঘাটগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। জোর করে সামাজিক দূরত্ব জারি করতে গেলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। ডিজিপি অশোক কুমার বলেন, “করোনা সংক্রমণের কারণে এ বার পুণ্যার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কম। সম্পূর্ণরূপে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারলেও প্রতিবার গঙ্গাস্নানের মাঝে আধ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা হচ্ছে। ওই সময়ে গঙ্গার ঘাট ও আখড়াগুলির সাফ-সাফাই করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৩৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। ব্যপক হারে করোনা পরীক্ষা করা হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।

আরও পড়ুন: সব আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণ না করতে পারলে কেউ বিদেশি হয়ে যায় না: গুয়াহাটি হাইকোর্ট

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest