প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর দেখভাল করে PM CARES ফান্ডের। ওই ফান্ড বা তহবিল পুরোপুরি সরকার নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু তাতে বেসরকারি উৎস থেকে অনুদান জমা হয় বলে তা আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় পড়ে না। বৃহস্পতিবার এ কথা স্পষ্ট জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, সরকারি সংস্থা অথচ তথ্য জানার অধিকার আইনভূক্ত নয়?
আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছে,’পিএম কেয়ারস তহবিল নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। ভারত সরকার এটি প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় নেই। কারণ তহবিলে ব্যক্তিগত অর্থ নেওয়া হয়েছে।’ বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা, কর্পোরেট, বিদেশি নাগরিক,বিদেশি সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছ থেকে অর্থ এসেছে পিএম কেয়ারসে। কোনও সরকারি সংস্থার থেকে টাকা আসেনি।
আরও পড়ুন: দু’দিনে ব্রিটেনফেরত ২০ যাত্রী করোনা পজিটিভ, নয়া স্ট্রেন ঘিরে আতঙ্কের মধ্যেই দেশে
অর্থাৎ বিদেশ থেকে বহু ব্যক্তি, সংস্থা নামে বেনামে এই তহবিলে বিপুল অর্থ অনুদান দেয়। অজস্র বেসরকারি সংস্থা এতে অর্থ অনুদান দেয়। তাই এটি আরটিআইয়ের আওতাধীন নয় বলে সরকার যে দাবি করছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। বিভ্রান্তির আর একটি বড় কারণ হল, গত ২৭ মার্চ ফান্ডের নথিভুক্তকরণের সময় অছি পরিষদ স্পষ্ট জানিয়েছিল, ‘এই পিএম কেয়ার্স ফান্ড কোনওভাবেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বা সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি পুরোপুরি বেসরকারি।’ অথচ ২৪ ডিসেম্বর সরকার নিজেই জানিয়েছে, এটি সরকারি ফান্ড। কিন্তু বেসরকারি অর্থ জমা পড়ে বলে এটি আরটিআইয়ের আওতাভুক্ত নয়। ফলে কোন ব্যাখ্যাটি ঠিক তা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় জনসাধারণের পিএম কেয়ারসে আর্থিক দানের আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই ফান্ড নিয়ে শুরু থেকে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তারা দাবি করেছে, পিএম কেয়ারসে কত টাকা পড়েছে, কোথায় খরচ হয়েছে তার যাবতীয় হিসাব প্রকাশ করুক কেন্দ্র সরকার।
তৃণমূলের সংসদীয় দলের জাতীয় মুখপাত্র ও মুখ্যসচেতক সুখেন্দু শেখর রায় পি এম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে পাঁচ দফা প্রশ্ন তুলেছেন। সঙ্গে ৩ দফা দাবিও জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। ফান্ডের গঠন, আয়-ব্যায়ের সূত্র ও পরিমাণ নিয়ে সিএজি তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে অ্যাটাচ করা হোক, নয়তো ট্রাস্ট ভেঙে সরকার সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্ত করুক, দাবি তুলেছেন সুখেন্দুশেখর রায়। কোভিডকালে মোদী সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: দলিত মেয়ের সঙ্গে পিজা খেতে গিয়ে বিপত্তি, জেল খাটছে শাকিব