নয়াদিল্লি : চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হলেই, সামনের জুনের পয়লা থেকে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে। রেলমন্ত্রী পীষূষ গোয়েল মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ১ জুন থেকে অবাতানুকূল প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাবে রেল। আপাতত, ২০০টি স্পেশ্যাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানো হবে।
কয়েকের মধ্যেই বুকিংও চালু হয়ে যাবে বলে। তবে, কোনও রেল স্টেশন থেকে টিকিট কাটা যাবে না।জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নিজে।অনলাইনে আগে থেকে টিকিট বুকিং করে উঠতে হবে ট্রেনে।
আরও পড়ুন: করোনা কথা:সোনিয়ার ভিডিও বৈঠকে মমতা-পাওয়ার-ইয়েচুরি-স্ট্য়ালিন
যাত্রীদের সুবিধার জন্য দিন কয়েকের মধ্যেই ওই ২০০ স্পেশ্যাল নন-এসি ট্রেনের সময়সারণি দিয়ে দেবে রেল। কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে আপাতত, বাতানুকূল ট্রেন চালুর সম্ভাবনা নেই বলে বিশেষ সূত্রে খবর।
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ২,৩৫০ কোভিড-১৯ আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৯,১৭৪ জন। সোমবার রাতেই ভারতে করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে।
একটু একটু করে শিথিল করা হচ্ছে লকডাউন। অথচ যে কারণে এই লকডাউন সেই করোনা সংক্ৰমণ কমার কোনও নামগন্ধ নেই। এর অর্থ করলে দাঁড়ায় যে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি ধরেই নিয়েছে করোনা নিয়েই আমাদের সকলকে বাঁচতে হবে। সে কারনে বাজার হাত খুলে দিয়ে জনজীবনে স্বাভাবিক গতি আনার চেষ্টা হচ্ছে।
মদের দোকান খোলার পর যে নির্লজ্জপনা শুরু হয়েছিল তার সাক্ষী ছিল গোটা দেশ। মদ থেকে বিপুল শুল্ক আদায় হয় সেটা সকলেই জানেন। কিন্তু তাতে তো আর করোনা রোকা যায় না? তাহলে লকডাউনের কী বা প্রয়োজন ছিল? কেনই বা একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য বিষ উগরে দেওয়া হল? এর উত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন: উড়ল পুরী মন্দিরের ধ্বজা, ৯৯-এর ওড়িশা সুপার সাইক্লোনের স্মৃতি কী ফিরছে আমফানে?