সরকারি তথ্যেই অভাব স্পষ্ট, দেশ জুড়ে ক্রমেই কমছে টিকাকরণ, আরও কমার আশঙ্কা

কংগ্রেসের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী নিজের নতুন বাসভবন তৈরির কাজ থেকে সরছেন না।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন, তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি-র জন্য নতুন ভবন, নতুন কেন্দ্রীয় সচিবালয় তৈরি করতে গিয়ে মোদী সরকার ১৩,৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এ দিকে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর মিছিল বাড়তে থাকলেও টিকাকরণের গতি কমতে শুরু করেছে। প্রতিষেধকের অভাবই যার প্রধান কারণ বলে বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন।

১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে এখনও পর্যন্ত দেশের মাত্র ৯টি রাজ্যে। গত ১ মে থেকেই সারা দেশে এই বয়সিদের টিকা দেওয়া শুরুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানই জানাচ্ছে, বাকি ২১টি রাজ্য এখনও সেই কাজ শুরু করে উঠতে পারেনি। রাজ্যগুলির বক্তব্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকার অভাই এর একমাত্র কারণ।

সরকারি তথ্য বলছে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের কোভিড টিকা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি হারে দেওয়া হয়েছে গুজরাতে। ১ লক্ষ ৮ হাজার ১৯১ ডোজ। তার পরেই রয়েছে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। টিকার মাত্র ৪০ হাজার ২৮ ডোজ দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে। বাকি যে ৫টি রাজ্যে এই বয়সিদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে তাদের অন্যতম- ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর ও কর্নাটক। সরকারি তথ্য এও জানাচ্ছে, এই ৯টি রাজ্যকেই এমন পরিমাণে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে যাতে তারা টেনেটুনে মে মাসের শেষ পর্যন্ত টিকা দেওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে পারে। ৯টি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত পৌঁছেছে টিকার ২২ লক্ষ ৫০ হাজার ডোজ।

আরও পড়ুন: Kerala Election Results 2021 LIVE: এগিয়ে বামজোট, ভাঙার পথে চার দশকের প্রথা

এখনও পর্যন্ত ভারতে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সিদের মধ্যে ৬০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে এমন আরও ২০ কোটি মানুষ রয়েছেন, যাঁদের এখনও কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যায়নি, টিকার অপ্রতুলতায়।

পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ২.৪৮ কোটি ডোজ় প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মাত্র ১.৪৮ কোটি ডোজ় টিকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মাসের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় শেষ সপ্তাহে টিকাকরণ ৪০ শতাংশ কমেছে। মে মাসের গোড়ায় তা আরও কমবে বলে অনুমান।

রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, মোদী সরকার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ১৩,৪৫০ কোটি টাকা খরচ করছে। তার বদলে ৪৫ কোটি মানুষের পুরো টিকাকরণ হত। অথবা, ১ কোটি অক্সিজেন সিলিন্ডার হত। অথবা, ২ কোটি গরিব পরিবারকে ৬০০০ হাজার টাকা করে দেওয়া যেত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অহং মানুষের জীবনের থেকেও বড়। প্রতিষেধক, অক্সিজেনের অভাবের মধ্যে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও সরকারের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

কংগ্রেসের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী নিজের নতুন বাসভবন তৈরির কাজ থেকে সরছেন না। কেন্দ্রের যুক্তি, এই সব প্রকল্পে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ কাজ পাবেন। সরকারি নথিতে অবশ্য স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে যে, সবটাই নির্মাণ প্রকল্পে কিছু দিনের অস্থায়ী কাজ।

আরও পড়ুন: ‘মমতা দিদিকে’ শুভেচ্ছা, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথের পরেই এল প্রধানমন্ত্রীর টুইটবার্তা

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest