বর্ধমানের করোনা হাসপাতালে আর জায়গা নেই, হাল খুঁজতে চিন্তায় প্রশাসন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। যেভাবে তা বাড়ছে তাতে আক্রান্তদের চিকিৎসা কীভাবে হবে তা ভেবে উদ্বিগ্ন পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা হাসপাতালে আর জায়গা নেই বললেই চলে।

শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের রাখার জায়গা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সব ওয়ার্ড প্রায় ভর্তি। তাই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নতুন জায়গার ব্যবস্থা করতে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, কোভিড হাসপাতাল ভর্তি হয়ে গেলে বর্ধমান মেডিক্যালের কোনও বিল্ডিং ফাঁকা করে সেখানে করোনা আক্রান্তদের রাখা যায় কিনা ভেবে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে অন্য বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে কোভিড হাসপাতাল করা হতে পারে। সব দিকই ভেবে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : অনলাইন লেনদেনের সময় ভুল করেও যে কাজগুলি করবেন না…

বর্ধমান শহর লাগোয়া ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বামচাঁদাইপুরে বেসরকারি হাসপাতালকে প্রি-কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছিল জেলা প্রশাসন। তখন দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতলে আক্রান্তদের পাঠানো হচ্ছিল।

এরপর বর্ধমানের ওই প্রি-কোভিড হাসপাতালকেই কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। এই হাসপাতাল ১২৮ বেডের। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন আক্রান্তের সংখ্যা ১২৭ জন। কয়েকজন বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন।জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের কোভিড হাসপাতাল প্রায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যালের সারি ওয়ার্ডেও আর জায়গা নেই বললেই চলে।

কাটোয়া ও কালনা মহকুমা হাসপাতালে কোভিড হাসপাতাল করার ভাবনা-চিন্তা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা বাতিল করা হয়। এদিকে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই রোগীদের কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন অবশ্য এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করছে। তাদের বক্তব্য, প্রয়োজন হলে অন্য কোনও বেসরকারি হাসপাতালকে অধিগ্রহণ করে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করে নেওয়া হবে। এছাড়াও উপসর্গবিহীন করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর ভাবনা-চিন্তা চলছে। যাদের সেই ধরনের পরিকাঠামো নেই বা কম উপসর্গ  রয়েছে তাঁদের ‘সেফ হোম’-এ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করতে যাওয়া এক বিপত্তি বলে জানিয়েছেন বহুজন। তাদের অভিযোগ সেখানে বিস্তর হুড়োহুড়ি। ফলে যাদের সংক্ৰমণ নেই, তারাও মানসিকভাবে সংক্রমণের আশংকায় ভুগতে শুরু করছেন।

আরও পড়ুন : সংকটকালে যুবসমাজের মনোবল বাড়াতে প্রেরণা যোগাবে মমতার নতুন গান

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest