কেমিক্যাল দিয়ে ধর্ষকদের নপুংসক করে দেওয়া উচিত, মত ইমরান খানের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার বা কেমিক্যাল ব্যবহার করে তাদের নপুংসক বানানোর প্রস্তাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)।ইমরান খানের এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, কোনও প্রধানমন্ত্রী কি কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে এ ধরনের নিদান দিতে পারেন? কেউ বা বলেছেন, এমন তালিবানি বিচার পাকিস্তানেই সম্ভব। আইনরক্ষা ও সমাজের নিরাপত্তা বজায় রাখা যেখানে রাষ্ট্রব্যবস্থার চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত, সেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আইনকানুনের সুরক্ষা নিয়ে।“ধর্ষণের এক ও একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত পুরুষাঙ্গ কর্তন। “ বলেও অভিমত প্রকাশ করেছেন তিনি।

৯ সেপ্টেম্বর রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে লাহোর থেকে গুজরানওয়ালা প্রদেশে যাচ্ছিলেন ৩০ বছরের এক তরুণী। হাইওয়েতে হঠাৎ তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি যখন স্বামীকে ফোন করছেন, পুলিশের সাহায্য খুঁজছেন, তখন দুই যুবক এসে সন্তানদের সামনে মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মহিলার সঙ্গে থাকা টাকা ও কার্ডও কেড়ে নিয়ে পালায় তারা।

তবে একথা যে তিনি মুখ ফস্কে বলে ফেলেছেন বা ঘটনার অভিঘাতে বলে ফেলেছেন, তা মনে হয়নি তাঁর কথায়। কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই ধরনের ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্ট নিয়ে যতবার কথা হয়েছে ততবার দেখা গেছে আন্তর্জাতিক মহল থেকে আপত্তি এসেছে।

সেই কারণে অপরাধের তীব্রতা অনুযায়ী ‘ডিগ্রি’ নির্ধারণ করে রাসায়নিক ভাবে বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গ বাদ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। এও বলেন, বহু দেশেই এই শাস্তি প্রচলিত।

পাশাপশি ইমরান কান মন্তব্য করেন, দুনিয়ার ইতিহাসের দিকে তাকালে বোঝা যায়, সমাজে যখন উগ্রতা বেড়ে যায়, তখন দুটো জিনিস ঘটে। এক, যৌন হিংসার ঘটনা বাড়তে থাকে এবং দ্বিতীয়ত, পারিবারিক কাঠামো ভেঙে যায়। পাকিস্তানেও তাই হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। উদাহরণ দিয়ে বলেন, ইংল্যান্ডের সমাজে উগ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডিভোর্সের রেট বেড়ে গেছে ৭০ শতাংশ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest