ঈদের সময়কার সামাজিক দূরত্ব পুজোয় বদলে যাচ্ছে কেন?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রদীপ আচার্য

শীতে কোভিড সংক্রমণের মাত্রা বাড়বে ভারতে, বলছে একাধিক রিপোর্ট। আশঙ্কা অস্বীকার করলেন না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও।শনিবার সাপ্তাহিক সোশ্যাল মিডিয়া কথোপকথন ‘সানডে সংবাদে’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, ‘SARS Cov 2 (নভেল করোনাভাইরাস) একটি শ্বাসবাহিত ভাইরাস এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় তার সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

কারও যেন আর কোনও পরোয়া নেই। সামনে পুজো। বাজার-হাটে গাদাগাদি ভিড়। কারও থুতনিতে মাস্ক, কেউ বা গরম লাগছে বলে মাস্ক খুলে ফেলেছেন। শপিং মলে গিয়ে পুজোর নতুন জামাকাপড়ের ট্রায়ালও দিচ্ছেন কেউ কেউ। করোনা আবহেও দুর্গোৎসবের আয়োজনে কোনও ফাঁক থাকছে না।

আরও পড়ুন : খাস কলকাতায় স্পা সেন্টারের আড়ালে মধুচক্র! জড়িত টেলি অভিনেতাও, গ্রেফতার ১৬

কেরলে ওনাম উৎসবের পরে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এই প্রথম মহারাষ্ট্রকে পিছনে ঠেলে আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে উঠে এল কেরল। কিন্তু কে শুনছে কার কথা।

মোদী জমানায় রাজনীতিতে একটা বড় বদল হয়েছে মানতেই হবে। এতদিন সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। যার পোশাকি নাম ছিল তোষণ। মূলত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গেওয়া পার্টি এই অভিযোগ করত। পরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানা যায়। অনেকে বলেন এর পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল টাইমিংয়ে ‘খোদা হাফেজ’, ‘ইনস আল্লাহ’ অনেকাংশে দায়ী। কিন্তু এখন দেশ বদলাচ্ছে। এটা নিউ ইন্ডিয়া। এখানে ‘হিন্দু খতরে মে হে’ এই স্লোগান ছড়ানো হচ্ছে।

ঈদের সময় সামাজিক দূরত্বের নির্দেশিকা অধিকনগ্য মুসলিম মেনে নিয়েছিলেন। দলবদ্ধভাবে নামাজ হয়নি। দু’একটা ব্যাতিক্রম হয় ছিল। কিন্তু পুজো আসার আগেই শ্রীলেদার্সের কেনাকাটার ভিড় বুঝিয়ে দিচ্ছে নির্দেশিকা খাতায় -কলমেই থাকবে। তাছাড়া সরকার যে বাড়তি কড়াকড়ি করবে তারই বা উপায় কথা। বিজেপি ইস্যু খুঁজতে ওঁৎ পেতে বসে রয়েছে। ফের তারা হিন্দু-মুসলিম বিভাজন রাজনীতি ফেরি করবে।

এখানে দুর্গাপুজোর সঙ্গে হিন্দু আবেগ জড়িয়ে। এই আবেগ কখনও কখনও করোনার থেকেও মারাত্মক। গোটা দেশে এখন ধর্মে বিদ্বেষের ভেজাল চলছে। সেটাই লোকে খাচ্ছে বেশি। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল ভোট। এখনো গোটা দেশ থেকে সরকার নামক বিষয়টি উঠে গিয়েছে। যা রয়েছে তা হল শাসক দল। তাদের একটাই চিন্ত। তা হল ভোট। কে কোন সুড়সুড়ি দিয়ে কখন ভোট কেটে দেয় সে চিন্তায় সকলে রয়েছে। তাই এই দুর্গা পুজোর সময়টা সত্যিই এবার বাঙালির জন্য বিপজ্জনক। করোনা অধিক ছড়িয়ে পড়ার এটি আদশ মওকা। মমতা সরকারকে সবটা সামাল দিতে হবে এটি সাবধানে। যাতে শাম ও কুল দুই থাকে। তা না হলে গলা কাঁপিয়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতার ভুল উচ্চারণে হিন্দু সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিতে তিনি কসুর করবেন। তবে এমন সুড়সুড়িতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ময়দান ছেড়ে দেবেন বলে মনে হয় না। দেখা যাক। আর হাত ধোওয়া যাক।

আরও পড়ুন : ‘সাম্প্রদায়িক রং চড়াচ্ছে একটি রাজনৈতিক দল’, পাগড়ি খোলা বিতর্কে টুইট নবান্নের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest