করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতার সঙ্গে এখনও লড়াই চালাচ্ছেন ভারতের কিংবদন্তি স্প্রিন্টার মিলখা সিং। কিন্তু তাঁর স্ত্রী নির্মল কাউরের সব লড়াই শেষ হয়ে গেল। প্রায় তিন সপ্তাহ করোনার সঙ্গে লড়াই করার পর রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ প্রয়াত হন ফ্লাইং শিখের স্ত্রী। নির্মল নিজেও মহিলার জাতীয় ভলিবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। পঞ্জাব রাজ্য সরকারের মহিলা খেলাধূলা বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টরও ছিলেন নির্মল কাউর।
গত তিন সপ্তাহ ধরে করোনায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ক্রমশ। অক্সিজেন লেভেল ক্রমশ কমে যেতে থাকলে তাঁকে হাই ফ্লোর নাজাল ক্যানুলা এবং নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিছুটা স্থিতিশীল হলেও তিনি শেষমেষ এই যুদ্ধটা জিততে পারলেন না।। মে মাসের শেষ সপ্তাহে নির্মল মিলখা সিংয়ের নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। একই সময় অসুস্থ হন মিলখা সিংহ। অবশ্য পরে মিলখাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ফের অবস্থার অবনতি হলে মিলখাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তিনি এখন কিছুটা সুস্থ।
মিলখা সিংয়ের পরিবার থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে নির্মল মিলখা সিং আজ বিকেল চারটের সময় প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। পাঞ্জাবের প্রাক্তন অধিকর্তা এবং ভলিবল দলের অধিনায়ক নির্মল মিলখা জীবনের শেষ লড়াইটা নাছোড় ভাবে লড়েছেন। পরিবারের প্রধান প্রেরণাই ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর শেষকৃত্যে থাকতে পারলেন না ফ্লাইং শেখ মিলখা সিং। কারণ তিনি এখনও আইসিইউতে আছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে যাঁরা এই মুহূর্তে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন, তাঁদের অশেষ ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন: England vs Croatia Live: প্রথমবার ইউরোয় প্রথম ম্যাচে জিতল ইংল্যান্ড, গোল করলেন স্টার্লিং,
শোনা গিয়েছিল, মিলখা সিং-এর বাড়ির পরিচারক প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পরই বাড়ির প্রত্যেকেরই করানো টেস্ট করা হয়েছিল। প্রথমে শুধুমাত্র মিলখা সিংয়েরই পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। তবে শুরুর দিকে তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ বা সমস্যা সে ভাবে ছিল না। তাই প্রথম দিকে বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। পরে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
এর পর তাঁর স্ত্রী নির্মল কাউরও করোনায় আক্রান্ত হন। কোভিড-১৯ সংক্রমণের পাশাপাশি নিউমোনিয়া হয়ে যাওয়ায় মহিলা ভলিবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক নির্মল কাউরকেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তবে শেষের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনকই ছিল। রবিবার তাঁর যাবতীয় লড়াই শেষ হয়ে যায়। এ দিকে বাবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই দুবাই থেকে উড়ে এসেছিলেন গল্ফার জীব মিলখা সিং।