অবশেষে কি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব মিটে গেল? মঙ্গলবার রাতের দিকে এমনই ইঙ্গিত মিলছে। সূত্রের খবর, শুভেন্দুর সঙ্গে সাড়ে তিন ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই দু’পক্ষের বরফ গলে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে উত্তর কলকাতার একটি জায়গায় বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও অভিষেক। সেখানে ছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দমদমের সাংসদ সৌগত রায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। রাত প্রায় সাড়ে ন’টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। সেখানেই শুভেন্দুর ‘মানভঞ্জন’ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৈঠকের পর সৌগত রায়সাংবাদিকদের বলেন, “অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা হয়েছে। আমি বলেছিলাম, শুভেন্দু দলে রয়েছে। ও কথা দিয়েছে দল ছেড়ে যাবে না। বাকিটা শুভেন্দু বলবে। আমি আর কিছু বলতে পারব না।”
আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ড: রাজ্য জুড়ে সিবিআই হানা, লালার বাড়িতে ৬ ঘণ্টা তল্লাশি
প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দুর মন্ত্রিসভায় ফেরা কি সময়ের অপেক্ষা? জানা গিয়েছে, এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনটি দফতর থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু। ওই দফতরগুলি নিজের হাতেই রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শুভেন্দুর জন্য দরজা খোলা রাখতেই মন্ত্রক বণ্টন করা হয়নি। ফলে তিনি মন্ত্রিত্বে ফিরলে অবাক হওয়ার কিছু থাকছে না। সম্ভবত আগামিকাল (বুধবার) নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন শুভেন্দু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ, শুভেন্দু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পর রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা তো বটেই তৃণমূলের অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন যে তাঁর তৃণমূল ত্যাগ সময়ের অপেক্ষা। তা ছাড়া তার পর একাংশ নেতা যে ভাবে ঠারেঠোরে তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন, তাতে সেই সন্দেহ আরও জোরদার হয়।
তবে হ্যাঁ এটা ঠিক যে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার পরেও শুভেন্দু দল বা সরকার সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক কথা বলেননি। শুধু দুটি ‘অরাজনৈতিক’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে একটি অনুষ্ঠানে কেবল বলেছিলেন, ‘চরৈবেতি চরৈবেতি।’
আরও পড়ুন: নিজের কেন্দ্রেই বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে লকেট, উদ্ধার করল পুলিশ