মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা ছাড়ার ২ সপ্তাহ পর তৃণমূলের বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, শুভেন্দুর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে। গত কয়েক দিন ধরে এমন গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে, এ বার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সত্যি হল।
বুধবার বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ তিনি বিধানসভায় পৌঁছন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন না বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সচিব অভিজিৎ সোমের কাছে গিয়েই ইস্তফাপত্র জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও বিধানসভায় অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র জমা না দেওয়ায় তা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: এবার বেসুরো জিতেন্দ্র! কেন্দ্রের ২ হাজার কোটি টাকা পায়নি আসানসোল পুরসভা, ফিরহাদকে ‘বিস্ফোরক’ চিঠি
বিগত কয়েক মাসের জল্পনার অবসান করলেন শুভেন্দু। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাজ্য বিধানসভায় এসে বিধায়ক পদও ছেড়ে দিলেন তিনি। ফলে তাঁর তৃণমূল ত্যাগের জল্পনাও আরও তীব্র হল। চলতি সপ্তাহেই তিনি দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে শামিল হতে পারেন বলেও ফিসফাস চলছে রাজনৈতিক মহলে। এদিনের পদত্যাগ যে সেই জল্পনাকেই উস্কে দেবে তা বলাই বাহুল্য। এদিনও তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে নিজের সাদা স্করপিয়োতে করে বেরিয়ে যান সদ্য পদত্যাগী এই তৃণমূল বিধায়ক।
গত ২৭ নভেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার পাশাপাশি আরও কয়েকটি পদ থেকে ইস্তফা দেন। মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ‘রাজনৈতিক অবস্থান’ জানাবেন বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পর। সেই পর্বও এ বার সম্পূর্ণ হল। অন্য দিকে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পরে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এর পর তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্রের মাথায় বিজেপির ধ্বজ, আর থাকতে পারছেন না অনুগামীরা