আগেই তৃণমূল কার্যালয় সেজেছিল গেরুয়া রঙে। নাম হয়েছিল শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্র। মঙ্গলবার দাদার বিজেপিতে যোগদানের খবর পাকা হতেই রাতারাতি তাতে উড়ল গেরুয়া পতাকা। বুধবার খেজুরির হেঁড়িয়ায় শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্রে বিজেপির পতাকা উড়তে দেখেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: ক্যালেন্ডার মিলিয়ে বেড়ানোর প্ল্যান করুন, জেনে নিন ২০২১-এ কতগুলো ছুটি?
মঙ্গলবার শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের খবরে শিলমোহর দেন তাঁর অনুগামীরা। জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিল্লি যাবেন তিনি। শুক্রবার যোগ দেবেন বিজেপিতে। শনিবার অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যে ফিরে খড়্গপুরে জনসভা করবেন তিনি।
গত মাসে মন্ত্রিত্ব ছাড়েন শুভেন্দু। তবে বিধায়ক পদ ও তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ এখনো ছাড়েননি তিনি। বিজেপিতে যোগদানের আগে যে কোনও সময় তা ছাড়তে পারেন শুভেন্দু।
মঙ্গলবার হলদিয়ায় এক অরাজনৈতিক সভায় শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে তৃণমূলকে বেঁধেন। বলেন, দলতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সঙ্গে দাবি করেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কারও একার নয়। নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে ১৯৪২-এ স্বাধীন তাম্রলিপ্ত সরকার গঠনের ছোট সংস্করণ আখ্যা দেন তিনি।
তৃণমূলে জননেতার তালিকা করলে, মমতার পরেই নাম ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে মমতা বা তৃণমূলের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। সেই শুভেন্দু অধিকারীও তৃণমূলে কোণঠাসা হওয়ার অভিযোগ জানাতে শুরু করেন।
মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দুর তিক্ত সম্পর্কের জেরে শুভেন্দুর দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দূরত্ব বজায় রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেন। শুভেন্দু-তৃণমূল সম্পর্ক আরও তলানিতে যায়, বিধানসভায় প্রশান্ত কিশোরকে ভোট কুশলীর দায়িত্ব দেওয়ার পরে। বারবার তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের সম্পর্ক শেষ। বিজেপি-তে শুভেন্দুর যোগ দেওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: দ্রুত ওজন কমাতে চান? ব্ল্যাক কফি দিয়ে দিন শুরু করুন