ঘরে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আদিবাসী বৃদ্ধ দম্পতির মাথা-ধড় আলাদা করে খুনের পর মুন্ডু নিয়ে পালাল আততায়ীরা! শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পুরুলিয়ার (Purulia) আড়শা থানার অযোধ্যা পাহাড়তলীর তানাসি গ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধ দম্পতির মুণ্ডহীন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম পাতাই মাঝি ও লেশকি মাঝি। অন্যদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও পুরুলিয়ার তানাসি গ্রামে নিজেদের ঘরেই ছিলেন তাঁরা। সকালে দরজা না খোলায় প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন, পড়ে রয়েছে দম্পতির মুন্ডুহীন দেহ। এর পর খবর দেওয়া হয় আড়সা থানায়। থানা থেকে পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে পৌঁছন দম্পতির ছোট ছেলে। তিনি জানান, কয়েকদিন শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন তিনি। নির্বিবাদ দম্পতিকে কারা খুন করল তা বলতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প লাগু হয়নি কেন? পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্যকে ‘সুপ্রিম’ নোটিশ
মৃতদের ছোট ছেলে মুকন্দ জানান, “আমি ঘরে ছিলাম না। স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি কালিপুরে ছিলাম। সেখানে থেকেই এই খবর পাই। কীভাবে, কেন বাবা-মাকে খুন করা হল বুঝতে পারছি না। বছর খানেক আগে জমির পাট্টা নিয়ে কাকার সঙ্গে একটা ঝামেলা ছিল। কিন্তু সেটা মিটমাট হয়ে যায়। তাছাড়া বছর কুড়ি আগে পড়শিরা মাকে ‘ডাইনি’ বলায় একটা ঝামেলা হয়। ওই ঘটনায় গরু বিক্রি করে জরিমানা দিতে হয়। তবে ওই ঘটনা ষোল আনা মিটে গিয়েছে।” যে পড়শির সঙ্গে ওই ‘ডাইনি’ নিয়ে ঝামেলা তাঁরা এখন আর গ্রামে থাকেন না। তাদের জমি খালিই পড়ে রয়েছে। এছাড়া পাট্টার জমি নিয়ে যে কাকার সঙ্গে ঝামেলা হয় এদিন তাঁরাও ওই গ্রামের নিচ পাড়ায় আরেকটি ঘরে ছিলেন। ফলে খুনের পিছনে কে রয়েছে তা নিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে পুলিশ। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন বলেন, “খুনের ঘটনার কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।”
আরও পড়ুন: লকডাউনে ২,০০০ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরেছে মালদার যুবক,পায়ে ধরেছে পচন