কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটার বাসিন্দা ওই কিশোরীর দেহ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিশোরীর কল লিস্ট খতিয়ে দেখে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
কিশোরীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১০ অগাস্ট থেকে সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে বালুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীর খোঁজ মিলছিল না। পরদিন রাজগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিজনরা। তার পর পুলিশও কিশোরীর খোঁজ দিতে পারেনি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন : নারদকাণ্ডে মুকুলকে ইডির নোটিশ, ৭ দিনের মধ্যে আয়ব্যয়ের হিসাব দিতে ‘কড়া’ নির্দেশ
তদন্তে নেমে প্রথমে এক স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে পুলিশ আরও দুজনের খোঁজ পায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুলিশি জেরার মুখে ওই কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে তাঁরা। শুধু তাই নয়, লাগাতার পাঁচদিন গণধর্ষণের পর গত ১৫ অগস্ট কিশোরীকে খুন করে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে দেহ ফেলে দেওয়ার কথাও স্বীকার করে অভিযুক্তরা।
খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না তাও জানার চেষ্টা চলছে অভিযুক্তদের থেকে। দেহাবশেষের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তদের নিয়ে জলপাইগুড়ির প্রধানপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। এদিন দোষীদের উচিৎ শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূলও।
আরও পড়ুন : স্বামী একদম ঝগড়া করে না’, বিরক্ত মহিলা করলেন ডিভোর্স মামলা