চাপের মুখে আপাতত পিছু হটল CESC। আপাতত গত এপ্রিল ও মে মাসের ইউনিট খরচ আপাতত স্থগিত রাখল সংস্থা। জানানো হল, যে বর্ধিত টাকা যোগ করা হয়েছিল এখনই সেই বাড়তি মাসুল দিতে হবে না গ্রাহকদের। শুধুমাত্র জুনের ইউনিট খরচটুকু দিলেই হবে।
টুইটারে CESC জানিয়েছে, সমাজের কিছু অংশের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শেষ ২ মাসের অতিরিক্ত বিল না দিলেও চলবে। ফলে চলতি মাসের বিল দিলেই চলবে। সেই অর্থের পরিমাণ বিলে উল্লেখ করা রয়েছে। এব্যাপারে বিস্তারিত বিধিনিয়ম তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমাদের ভুলের দায় যেন মমতাকে নিতে না নয়, বললেন দিদির কেষ্ট
— CESC Limited (@CESCLimited) July 19, 2020
বলে রাখি, জুলাইয়ের শুরু থেকেই অস্বাভাবিক বেশি বিল পেতে শুরু করেন CESC-র গ্রাহকরা। যার জেরে কলকাতা ও শহরতলির প্রায় সর্বত্র বিক্ষোভ ছড়ায়। বাদ যাননি বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর বাড়িতেও পৌঁছেছে বেয়াড়া বিল। CESC-র সাফাই ছিল, করোনার লকডাউনের কারণে এপ্রিল ও মে মাসে মিটার রিডিং নেওয়া যায়নি। ফলে ওই ২ মাসে গড় করে একটা বিল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু জুনে বিল নিতে দেখা যায় প্রায় সব জায়গায়াতেই বার্ষিক গড়ের থেকে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করেছেন গ্রাহকরা। ফলে সেই অর্থ জুনের বিলের সঙ্গে যুক্ত হয়। তাতেই হয়েছে গোলমাল।
বেসরকারি বিদ্যুত সরবরাহকারী সংস্থার এই সিদ্ধান্তকে ‘কলকাতার জয়’ বলে চিহ্নিত করেছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধেবেলা টুইট করে তিনিই এই খবর দেন। পাশাপাশি বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতের ছাত্রী প্রজ্ঞা এখন JMB নেত্রী , মা বলছেন শাস্তি চাই