বিষ খেয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন চোপড়ার কিশোরী ও তাঁর প্রেমিক, দাবি পুলিশের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

একসঙ্গে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে প্রেমিক -প্রেমিকা। প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল তরুণীর দেহ। সেটিকে রাজনীতির রং দেবার চেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের অনুমান, যুবক ফিরোজ আলির সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। সেজন্য তাঁর হাত ধরে পালাতে চেয়েছিল সে। ভিনধর্মের এই প্রেমে কিশোরীর মৃত্যুর পর লেগেছে রাজনীতির রং।

আগেই অভিযুক্তের নাম ধাম সামনে আনা হয়। সেই হিন্দু-মুসলিম ফর্মুলা কাজে লাগাবার চেষ্টা হয়। কিন্তু অভিযুক্তের দেহ মেলার পর সব চালাকিতে জল পরে যায় বলে মনে করছেন অরাজনৈতিক লোকজন। ফের একবার লাভ জিহাদ স্লোগান দিয়ে বাজার গরম করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা হাতছাড়া হয়ে গেল গেরুয়া দলের।

আরও পড়ুন : সাপ্তাহিক লকডাউন রাজ্যে, অকারণে বের হলেও পাকড়াও করছে পুলিশ

বুধবার নিহত যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায় কিশোরীকে খুনে অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যুও হয়েছে বিষক্রিয়ায়। এর আগে কিশোরীর মৃত্যুও বিষক্রিয়ায় হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। শুধু তাই নয়, দুজনের দেহে একই বিষের উপস্থিতি মিলেছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল থেকে কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই যুবকের। টের পেয়ে মাঝে মেয়েকে দিদির বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মা। ফুরে এসে ফের ২ জনের মধ্যে যোগাযোগ হয়। কিশোরীর মোবাইল ফোন ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে ১১টা নাগাদ প্রেমিককে মেসেজ করে কিশোরী। তাতে জানায়, তার সঙ্গে পালিয়ে যেতে চায় সে। নইলে একসঙ্গে ২ জনে বিষ খাবে।

প্রেমিকার মেসেজ পেয়ে গভীর রাতে কিশোরীর বাড়িতে পৌঁছয় যুবক ফিরোজ আলি। ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছেন কিশোরীর বাড়ির লোকেরা। সেই সুযোগে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছাড়ে কিশোরী। বাড়ি থেকে কিছু দূরে যেখানে কিশোরীর দেহ মিলেছে, সেখানে বসে ২ জনে চকোলেট খায়। এর পর একসঙ্গে বিষ খায় ২ জনে।

পুলিশের দাবি, পাশাপাশি মৃত্যু হয় কিশোরী ও তাঁর প্রেমিক ফিরোজ আলির। সকালে বাড়ির কাছে মেয়ে ও তার প্রেমিককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। আর যুবকের দেহ নয়ানজুলিতে লুকিয়ে ফেলে তারা। পরদিন নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হয় ফিরোজ আলির দেহ। এরই মধ্যে একে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বলে দাবি করে আন্দোলনে নামে বিজেপি।

আরও পড়ুন : ভারতে ৬৫% বিক্রি বেড়েছে কন্ডোম, সেক্সটয়ের! এগিয়ে চার শহর, কলকাতা কি রয়েছে তালিকায়?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest