শীতলকুচিতে বর্মন সহ নিহতদের পরিবারকে চাকরি মমতার,তদন্ত নামছে সিআইডির নেতৃত্বে বিশেষ দল

মমতা বলেন,পাঁচজনের পরিবারকেই আমরা পাঁচটা হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি। এই প্রতিশ্রুতিটা আমরা আগেই দিয়েছিলাম যে আমরা করব। আমরা দিচ্ছি ওদের চাকরি।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে কোনও মতেই পিছিয়ে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। উত্তরোত্তর কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো এবং তাতে ৪ ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে একের পর এক পদক্ষেপ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল প্রথমেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল কোচবিহারের এসপি দেবাশিস ধরকে। এরপর বৃহস্পতিবার সিট গঠন করে পূর্ণাঙ্গ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বার ওই বুথে মৃত ব্যক্তিদের সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, শীতলকুচি নিয়ে সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে। ওখানে পাঁচজন মারা গিয়েছিল, “চারজন রাজবংশী মুসলিম একজন হিন্দু। পাঁচজনের পরিবারকেই আমরা পাঁচটা হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি। এই প্রতিশ্রুতিটা আমরা আগেই দিয়েছিলাম যে আমরা করব। আমরা দিচ্ছি ওদের চাকরি।” একই এ দিন আরও একটি বড় ঘোষণা করেন মমতা। তিনি জানান, নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সেই ১৬ জনের পরিবারকে দু-লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন : ভিডিওতে ‘মৃত কর্মী’, টুইটে দিল্লির সাংবাদিক জানালেন ,“বেঁচে আছি”! বিপাকে বিজেপি

এদিনই শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল, সিট গঠন করল সিআইডি । চার সদস্যের সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি সিআইডি।চতুর্থ দফার নির্বাচনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। জোরপাটকি এলাকায় সিআরপিএফের গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। তাতে মৃত্যু হয় চার গ্রামবাসীর। আধা সামরিক বাহিনীর তরফে গুলিচালনার কথা স্বাকীর করে নেওয়া হয়। তবে বলা হয়, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয়েছিল কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানদের।

আচমকাই ৩০০-৪০০ জন উন্মত্ত গ্রামবাসী তাঁদের ঘিরে ধরেছিল, আর পরিস্থিতি সামলাতেই গুলি চালাতে হয়। যদিও নিজেদের বক্তব্যের পক্ষে কোনও সিআরপিএফ দিতে পারেনি। এলাকার লোকেদের দাবি কার্যত বিনা প্ররোচনায় গুলি করে মানুষ খুন করেছে তারা।

চার সদস্যের তদন্তকারী দল প্রথমে ওই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করছেন। পাশাপাশি মাথাভাঙা থানার আধিকারিক, যিনি ওই ঘটনার তদন্ত করেছিলেন, তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। পর্যায়ক্রমে ওই দিন ওই এলাকায় জেলা পুলিশের যে আধিকারিকরা ছিলেন, তাঁদেরকেও তলব করা হবে। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, তার পুনর্নির্মাণও করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : দিনহাটায় উদয়ন গুহকে মারধর, ভাঙল হাত, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest