রথে শাহ, পথে মমতা…আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল- বিজেপি দ্বৈরথ

বৃহস্পতিবার বঙ্গভোট-রাজনীতির বৃহস্পতি তুঙ্গে উঠছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বৃহস্পতিবার বঙ্গভোট-রাজনীতির বৃহস্পতি তুঙ্গে উঠছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। একই দিনে এই জেলায় কর্মসূচি নিয়ে নামছেন রাজনীতির তিন তারকা। অমিত শাহ দুপুরে সাগরে যাচ্ছেন কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিতে। তার পরে হেলিকপ্টারে নামখানা গিয়ে সেখান থেকে বিজেপি-র পরিবর্তন যাত্রা শুরু করবেন। আর এক দিকে একমঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন দু’জন।

বুধবার গভীর রাতে কলকাতা পৌঁছেছেন অমিত শাহ ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি প্রথমে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন ৷ এরপর নামখানা পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন তিনি ৷ মধ্যাহ্নভোজ সারবেন নামখানার এক মত্স্যজীবীর বাড়িতে । সেখান থেকে যাবেন কাকদ্বীপে । সেখানেও বক্তৃতা দেবেন তিনি ।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বুথস্তরের কর্মীদের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। কিন্তু পরে তা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকার দৌলতপুরে এই কর্মী সম্মেলন হবে। বিজেপি বলছে, শাহের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্যই এই পরিবর্তন করেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই স্থান পরিবর্তনের সঙ্গে শাহের কর্মসূচির কোনও সম্পর্ক নেই।

আরও পড়ুন: বিজেপির ‘যশ’ লাভ! গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন টলিপাড়ার আরও ৩

ভোটের হিসেবনিকেশে দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই জেলার চারটি আসনেই দাঁত ফোঁটাতে পারেনি বিজেপি। বিধানসভা ভিত্তিক ফলে দেখা যাচ্ছে, ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। তার আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ৩১টির মধ্যে ২৯টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। তাই নীল বাড়ির ক্ষমতা দখলে রাখতে এ বারও সে রকম ফলেরই পুনরাবৃত্তি চাইছে শাসক দল। মমতা-অভিষেক কেউই এখানে বিজেপি-কে জায়গা ছাড়তে নারাজ।

অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈলানের এই সভার কথা আগে জানা ছিল না, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈলানে সভা করার কথা দুদিন আগেও কারও জানা ছিল না।হঠাৎ সবাই জানলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮ ফেব্রুয়ারি পৈলানে সভা করবেন । সাধারণভাবে আমরা জানি আগে কারও বড় সভা থাকলে সেই একই জেলায় বা অঞ্চলে পুলিশ অন্য সভার অনুমতি দেয় না। আমাদের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা অনেক হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন তো মমতার মতোই চলে।”

আরও পড়ুন: ‘র‍িগিং যদি করতেই হয় আমরাই করব’, বেফাঁস মন্তব্যে হুমকির সুর সৌমিত্র খাঁ’র গলায়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest