জমিনে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে তার জুড়ি নেই। তিনি মাটির নেত্রী। সে কথা বারবার প্রমান করেছেন মমতা। মঙ্গলবার বোলপুরে পদযাত্রায় ফের একবার দেখালেন নিজের তেজ। প্রথমে জনপ্লাবনের মধ্যে দীর্ঘ পদযাত্রা, এরপর সভামঞ্চ থেকে জ্বালাময়ী বক্তৃতা। রবি-তীর্থ বোলপুরের জনতা এদিন দেখা পেলেন ‘ভিন্টেজ’ মমতাকে (Mamata Banerjee)।
অমিত শাহ গাড়িতে চেপে রোড শো করলেও মুখ্যমন্ত্রীর পা ছিল মাটিতেই। আর বক্তব্যের শুরুতেই বিজেপির ‘ফেক রাজনীতি’ ও বিশ্বভারতীতে কেন্দ্রীয় শাসকদলের প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে, তার সমালোচনা করেন তিনি। নিশানায় নেন উপাচার্যকেও। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন লুক নিয়েও একবার খোঁচা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিদিকে হৃদ মাঝারে রাখবো ছেড়ে দেব না!#DidiInBirbhum #BasudebBaul pic.twitter.com/zBtzS6OgeE
— Didi Ke Bolo (@DidiKeBolo) December 29, 2020
আরও পড়ুন: ‘তিনবার তিন ধর্মে বিয়ে করেছেন’, নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ দিলীপের
সপ্তাহখানেক আগে শাহি রোড শো-এর পাল্টা দিতে উঠে এদিন মমতা বলেন, “ঘৃণ্য রাজনীতি আমদানি করা হয়েছে বাংলায়। প্রতি সপ্তাহে আসছে, দরবার খাচ্ছে, ফাইভ স্টারের খাবার। ফেক রাজনীতি। সব ফেক।” মমতার অভিযোগ, “ওরা রবি ঠাকুরকে, শান্তিনিকেতকে, আশ্রমকে, অমর্ত্য সেনকেও ছাড়ে না। কুৎসিত কথায় আক্রমণ চলছে।” বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার উদ্দেশে তিনি বলেন, “রবি ঠাকুর জন্মেছিলেন জোড়াসাঁকোয়। ৬০ বছর বাদে তৈরি করেন বিশ্বভারতী। আজ বিজেপি এসে তাঁর পুরো জন্মস্থানটাই বদলে দিল।”
বোলপুরের মঞ্চ থেকে মঙ্গলবার কোনও রাখঢাক না রেখেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ‘বিজেপির লোক’ বলে ইঙ্গিত করেন মমতা। তিনি বলেন, “বিজেপির মার্কামারা স্ট্যাম্প মারা উপাচার্যকে নিয়ে এসেছে। কই আমি তো এমন করি না। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে , যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কোথাও এমন দেখতে পাবেন! কেন্দ্র কি আর কোনও উপাচার্য খুঁজে পায়নি, একটা নিয়ে এসেছে বিজেপি মার্কা মারা।”
আমাদের জননেত্রী। #DidiInBirbhum #Bolpur pic.twitter.com/CFS500iiOX
— Didi Ke Bolo (@DidiKeBolo) December 29, 2020
লকডাউনের পর থেকেই নতুন অবতারে ধরা দিতে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই নয়া রূপ নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেন মমতাও। বলেন, “একেবারে যেন রবীন্দ্রনাথ এসে গেছে। সান্তাক্লজ এসে গেছে। এমন হাবভাব।”
মমতা বলেন, “টাকা দিয়ে কিছু বিধায়ক কেনা যায়। ভোট এলে বাংলায় এদের দেখা যায়। টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। টাকা দিয়ে কয়েকটা বিধায়ক কিনে নিয়ে ভাবছে অনেক করেছে। তাও কয়েকটা পচা-ধচা। তৃণমূল কংগ্রেসকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।”
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আমদানি করছে BJP, মাস্টারমাইন্ড দিলীপ ঘোষ’ বললেন জ্যোতিপ্রিয়