Salute! অগ্নিকুণ্ড থেকে দুই শিশুকে বাঁচিয়ে প্রাণ দিল দশমের ছাত্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চোখের সামনে জ্বলছিল একটা বাড়ি এবং ভেতর থেকে আর্ত চিৎকার ভেসে আসছে। তাও তিনটি শিশুর। নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেনি সৈনিক স্কুলের ছাত্রটি। সকলের মানা উপেক্ষা করেই ঢুকে পড়ে সেই অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে। এক এক করে বাঁচিয়ে নেয় তিন শিশুকেই। কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে অক্ষম হল পুরুলিয়া সৈনিক স্কুলের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া অমিত রাজ।

আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নিল অমিতের দেহ। মারাত্মকভাবে পুড়ে যায় এই পড়ুয়া। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হল না। দিল্লির হাসাপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো গেল না অমিতকে। খবর এসে পৌঁছনোর পরে প্রাক্তনীদের তরফে এ দিন পুরুলিয়া-বোকারো জাতীয় সড়কের পাশে থাকা স্কুলের গেটে অমিতকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্কুলের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী অমিতের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

আরও পড়ুন: সুদীপ্ত সেনের চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! খতিয়ে দেখার দাবিতে সিবিআইয়ের দ্বারস্থ শুভেন্দু, আদালতে কুণাল

প্রাক্তনীদের তরফে অরিন্দম গিরি ও অমরকান্ত লিলহা জানান, কোভিডের কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে বাড়িতে ছিল বিহারের নালন্দা জেলার রাহুই থানার পেশোয়ার গ্রামের অমিত। তাঁদের কথায়, ‘‘যেটুকু জানতে পেরেছি, গত ৩ ডিসেম্বর অমিতের এক পড়শির বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়ির ভেতরে তিনটি ছেলে ছিল। এক জন বেরিয়ে এলেও আটকে পড়ে দু’জন। অমিত ভেতরে ঢুকে ছেলেগুলিকে উদ্ধার করে। ওর শরীরের অনেকটা পুড়ে গিয়েছিল।’’ সে দিনই অমিতকে নালন্দার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে পটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানান তাঁরা।

পরে ‘হোয়াটস অ্যাপ’ গ্রুপ মারফত অমিতের খবর প্রাক্তনীদের কাছে পৌঁছলে গত ৯ ডিসেম্বর ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে অমিতকে পটনা থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান অমিতবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের সব সৈনিক স্কুলের প্রাক্তনীরাই চেষ্টা করেছিলেন ওকে বাঁচাতে। কিন্তু এ দিন সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে অমিত চলে গেল।’’

আরও পড়ুন: দলবিরোধী মন্তব্যর জের,‌ শুভেন্দু অনুগামী কনিষ্ক পণ্ডাকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest