‘বাংলার মেয়ে নন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ফুফু, আর রোহিঙ্গাদের খালা’ নাম না করে খোঁচা শুভেন্দুর

এই প্রশাসনের খোলনলচে পাল্টে ফেলতে হবে। না হলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে না মন্তব্য শুভেন্দুর।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

‘বাংলার মেয়ে নন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ফুফু, আর রোহিঙ্গাদের খালা’। ডানকুনিতে ‘রথযাত্রা’র সূচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) এ ভাষাতেই আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দাবি করলেন, ‘প্রত্যেকটি থানার পুলিস, আইবি ও সিআইডি আধিকারিকরা বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতছে। এই প্রশাসনের খোলনলচে পাল্টে ফেলতে হবে’।

নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে ‘সাধুবাদ’ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ চলছে। প্রশাসন-পুলিসকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তৃণমূল মানে এনামূল, এই মডেলকে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বচ্ছভাবে ভোট করানোর উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। তবে না আঁচালে বিশ্বাস নেই, সতর্ক থাকতে হবে’।

আরও পড়ুন: দিল্লি পৌঁছল রাজ্য বিজেপির তৈরি ১৩০ আসনের প্রার্থী তালিকা, একই কেন্দ্রের জন্য একাধিক নাম

কমিশনের কাছে শুভেন্দুর দাবি, ‘নবান্নে নির্বাচনী সেল খোলা হয়েছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই সেল চালানো যাবে না। ম্যাম-ম্যাম করা লোকেদের নবান্নে বসিয়ে ইলেকশন করা যাবে না। প্রত্যেকটি থানার পুলিস, আইবি ও সিআইডি আধিকারিকরা বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতছে। এই প্রশাসনের খোলনলচে পাল্টে ফেলতে হবে। না হলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে না’।

এদিন ডানকুনিতে বিজেপির যে ‘রথযাত্রা’ কর্মসূচির সূচনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী, তার পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূলও। স্রেফ মোবাইল অ্যাপ নয়, ভোটের প্রচারের এবার ‘দিদির দূত’ হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) শীর্ষ নেতারা।

শনিবারই ঘাটালে ‘দিদির দূত’ হয়ে হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘দিদির দূত হয়ে ঘুরছে তোলাবাজ ভাইপো। দুয়ারে সরকার নয়, দুয়ারে সিবিআই’।

শনিবার ঘাটালের নিমতলা মোড় থেকে বিবেকানন্দ মোড় পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার রোড শো করেন অভিষেক। রীতিমতো জনজোয়ারে ভাসতে ভাসতে এগোতে থাকেন ‘দিদির দূত’। ভিড়ের জেরে একেবারে শ্লখ গতিতে যায় অভিষেকদের মিছিল। দীর্ঘ মিছিলের শেষে জনসমাগমে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়েন। বলেন, ‘আমি অনেক পদযাত্রা করেছি, অনেক কর্মসূচিতে দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেছি, একাধিক জনসভা করেছি। কিন্তু আজকের পদযাত্রা আমার রাজনৈতিক জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যাঁরা বলেছিলেন না তৃণমূলকে হারিয়ে ৩৫-০ করবেন, তাঁদের আজ রাতে ঘুম উড়ে যাবে।’

আরও পড়ুন: BJPর পরিবর্তন যাত্রার রথ ভাঙচুর, অভিযোগ যথারীতি Trinamoolএর বিরুদ্ধে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest