কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে জারি হয় লকডাউন। আর তার জেরেই বন্ধ হয়ে যায় দেশের সংসদের অধিবেশন ও রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন। কিন্ত সাংবিধানিক সংকট কাটাতে কোভিড বিধি মেনে সংসদের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও বাদল অধিবেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক হয়েছিল ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দু’দিন বসবে এই অধিবেশন। কিন্ত মঙ্গলবার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দু’দিনের বদলে একদিন হবে বিধানসভার অধিবেশন।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই সারদাকাণ্ডে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করতে চলেছে CBI, এক IPS-সহ থাকতে পারে ৬টি নাম
অধিবেশনের যা সূচি ঠিক হয়েছে তা হল, আগামীকাল বুধবার প্রস্তাবের পর প্রথমার্ধে মুলতবি হয়ে যাবে বিধানসভার অধিবেশন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে কোর্ট ফি সংশোধনী বিল আনা হবে। তা পাশ হলেই এবারের মতো মুলতবি হয়ে যাবে বিধানসভার অধিবেশন। তবে বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দল এই সংক্ষিপ্ত অধিবেশন নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
বুধবার অধিবেশনের আগে এদিন বিধায়ক, বিধানসভার কর্মী, নিরাপত্তা রক্ষী ও সাংবাদিকদের কোভিড টেস্ট করানো হয়। তবে করোনা আবহের কারণে এবারের অধিবেশনে থাকছে না কোনও রকম প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে বিধায়কদের আতঙ্কের কারণেই অধিবেশনের দিন কমিয়ে একদিন করা হল।
এমনিতেই বিধায়কদের মধ্যে একের পর এক সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। রবিবারই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে হাবড়ার বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এর আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ ও এগারার বিধায়ক সমরেশ দাস। তা ছাড়া জটু লাহিড়ী, দুলাল দাস, রুকবানুর রহমানের মতো বিধায়করাও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যেও সংক্রমণ দানা বেঁধেছে। এমনকি বিধানসভার কর্মীরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাই অধিবেশনের ব্যাপারে অতি সতর্কতা মানা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই! অবশেষে BJP-তে পদ পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য রইলেন তথাগত রায়