Surrogacy and Islam: Does Islam allow surrogacy?

Surrogacy and Islam: সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান গ্রহণ, জানুন ইসলাম কী বলে?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বর্তমানে সন্তান গ্রহণের একটি নতুন প্রযুক্তির নাম ‘সারোগেসি’(surrogacy meaning)। সারোগেসিকে অনেকে গর্ভ ভাড়া দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (এনএইচএস) সংজ্ঞা অনুযায়ী সারোগেসি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একজন নারী কোনো এক যুগলের জন্য গর্ভধারণ করে। যারা চিকিৎসা বা শারীরিক কারণে গর্ভধারণ করতে অক্ষম।

ইসলামিক মতে টেস্টটিউব(is surrogacy in islam allowed) বেবি হালাল হলেও, সারোগেসি হারাম(islam surrogacy )।স্কলারদের মতে, এই জাতীয় সারোগেট মাতৃত্বের অনুমতি নেই কারণ এটি ব্যভিচার -এর সমতুল্য, যেহেতু সারোগেট তার বৈধ স্বামী নয় এমন ব্যক্তির নিষিক্ত ডিম বহন করে। যে সন্তানের জন্ম হয়, বৈধ বিবাহের মাধ্যমে তার কোন বংশগত সম্পর্ক নেই, এই কারনে সন্তানটি অবৈধ বলে গন্য হবে(surrogacy and islam between permissibility and prohibition)। ১১ থেকে ১৬ ই অক্টোবর ১৯৮৬ সালে, জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসলামিক ফিকহ একাডেমি কাউন্সিলের তৃতীয় অধিবেশনে ঘোষনা করা হয় যে, সারোগেসি ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

অনেকে দাবি করতে পারে, সারোগেসি পদ্ধতিতে নারী-পুরুষের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হচ্ছে না। তাহলে একে বিবাহবহির্ভূত ব্যভিচার বলে আখ্যা দেওয়া যায় না। এবং পাপের কাজ বলারও কোনো সুযোগ থাকে না। নিম্নের আয়াত ও হাদিস দ্বারা তাদের এ ধারণাটি বদলে যাবে।

আরও পড়ুন: Ertugrul ghazi ড্রামাতে পেয়েছেন তাঁর ঝলক, জানেন কি ইবনুল আরাবী কে ছিলেন ?

প্রথমত পবিত্র কোরআনে(surrogacy in quran) নারীদের ফসলক্ষেত্র বলা হয়েছে, ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসলক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের ফসলক্ষেত্রে গমন করো, যেভাবে চাও। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২৩) আর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, তার জন্য বৈধ নয় অন্যের ফসলে নিজের পানি সেচন করেন। ’

পবিত্র কোরআনের বিধান অনুযায়ী জন্মদাতা নারীই হয় সন্তানের মা। অন্যদিকে, সারোগেট মায়ের অনেক আত্মীয়-স্বজন এই সন্তানের নিকট-আত্মীয় বলে বিবেচিত হবে। যাদের ও যাদের সন্তানদের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এই সন্তানের জন্য হারাম হবে। কিন্তু যেহেতু সারোগেট মা তার ভাড়া পাওয়ার পর সন্তানকে ভাড়াদাতাদের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ না-ও থাকতে পারে, তখন এই শিশু বড় হয়ে কিভাবে শনাক্ত করবে যে যার সঙ্গে তার বিয়ে হচ্ছে, সে ওই সারোগেট মায়ের সূত্রে তার কোনো হারাম আত্মীয় হয়ে যায় কি না? সারোগেট মায়েদের তো এমন আরো অনেক সন্তান থাকতে পারে, যারা পরস্পর ভাই-বোন হবে, তাদের মধ্যে বিয়ে বন্ধনও হারাম হবে; কিন্তু বড় হওয়ার পর এগুলো শনাক্ত করাও তো সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুন: Concept of Rizq (Sustenance): জানুন রিজিক কমবেশি কেন হয়?

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest