ঘরে অক্সিজেনের (Oxygen) জোগান রাখতে তুলসী (Tulsi), অ্যালোভেরা (Aloe Vera) লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Corona Second Wave) অক্সিজেনের গুরুত্ব কতটা তা দেশবাসী টের পাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে বৃক্ষরোপণের পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে ঘরে পরিশুদ্ধ বাতাসের জন্য ইন্ডোর প্ল্যান্টেশনে জোর দিতে বলছেন পরিবেশবিদরা।
তুলসী পাতার জুড়ি মেলা ভার। সর্দি-কাশিতে খুবই উপকারী। আবার ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত রাখে তুলসী। একটি তুলসী গাছ ২০ ঘন্টা পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে ঘরের ভিতরে বাতাস পরিশুদ্ধ করে থাকে তুলসী।
শুধু তুলসী নয় অন্দরসজ্জায় থাকা অ্যালোভেরার গুরুত্বও অপরিসীম। বাংলায় একে ঘৃতকুমারী বলে থাকে। একটা অ্যালোভেরা গাছ ঘরের বাতাসের স্বাস্থ্য উন্নত করে দিতে পারে। একটি অ্যালোভেরা গাছ ৯টি এয়ার পিউরিফায়ারের কাজ করে থাকে। অ্যালোভেরা দ্রুত বাতাসে ক্ষতিকারক টক্সিনকে শোষণ করে নিতে পারে।
আরও পড়ুন: বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে নতুন বাগান করেছেন? এই ভুলগুলো একদম করবেন না
ইন্ডোর প্ল্যান্টেশনের মধ্যে স্নেক প্ল্যান্ট সবথেকে জনপ্রিয়। অনেক ঘরের ডাইনিং, বেডরুমে এই গাছ লাগিয়ে রাখেন। ঘরের সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই গাছ বাতাসে টক্সিন শোষণ করে নেয় এই গাছ। আমেরিকার নাসার স্বীকৃতি পেয়েছে এই গাছ।একটা স্নেক প্ল্যান্ট বাতাসে ট্রাইক্লোরোথাইলিন এবং ফরমাল ডিহাইড জাতীয় শোষণ করে থাকে। স্টাইরিন গ্যাসোলিন জাতীয় টক্সিনও শুষে নিতে পারেন। এতে বাতাস পরিশুদ্ধ হয়। প্রায় ২০০ বর্গমিটার এলাকার বাতাস পরিশুদ্ধ করতে পারে এই গাছ। এছাড়া এই গাছ রাতেও অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।
বাতাসের দূষিত কণা টোলুইন, ক্ষতিকারক টক্সিন বেঞ্জিন ও ফর্ম্যালডিহাইডকে শোষণ করে ঘরে অক্সিজেন লেভেল বাড়াতে সক্ষম বাঁশ গাছও। এইসব গাছগুলোর জন্য বড় জায়গা লাগে না। ঘরে ছোট টপে এগুলো বেড়ে উঠতে পারে। এদের যত্ন পরিচর্যার বিশেষ প্রয়োজন হয় না।
ইন্ডোর প্ল্যান্টেশন জায়গা বেশি লাগে না। জানালা, বারান্দা ছাদ যে কোনও জায়গায় টবে জলের বোতলে গাছ লাগানো যায়। এছাড়া ভার্টিকাল গার্ডেন করা যায়। সেখানে সবজি, ফুল, বাহারি সব ধরনের গাছ লাগানো যায়। আর সবুজ থাকলে সেখানে কার্বনের মাত্রা কমবে।
আরও পড়ুন: বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে নতুন বাগান করেছেন? এই ভুলগুলো একদম করবেন না