নয়াদিল্লি : পরিযায়ী শ্রমিকদের চলাচল আটকানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের একটি আবেদন দায়ের হয়েছিল। সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।আবেদন করেছিলেন আইনজীবী আলোক শ্রীবাস্তব। কিন্তু কড়া ভাষায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যগুলিকেই। আদালত এইসব কথা শুনবেও না, সিদ্ধান্তও নেবেনা। কোন রাজ্য থেকে কোন শ্রমিক হেঁটে বাড়ি ফিরছেন, তা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।
লকডাউনের জেরে যেসব পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছেন, তাঁদের শোচনীয় অবস্থার ছবি বারবার ধরা পড়েছে। কেউ কেউ কয়েকশো কিলোমিটার হেঁটে বাড়িও ফিরেছেন। হাঁটতে গিয়ে পথেই প্রাণ হারিয়েছেন বহুজন। সম্প্রতি এক ব্যক্তি তাঁর অন্তসত্ত্বা স্ত্রী ও মেয়েকে কাঠের পাটাতনে বসিয়ে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন।কিংবা এক মা ট্রলিব্যাগে তাঁর সন্তানকে শুইয়ে হেঁটে চলেছেন। এই মর্মান্তিক ছবিগুলি বারবার উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: হেঁটে ক্লান্ত, ট্রলি ব্যাগের উপরেই ঘুম দুধের শিশুর, টানছেন পরিযায়ী মা!
শুক্রবার শুনানিতে বিচারপতি এল নাগেশ্বরা রাওয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলে, ‘আমরা কীভাবে (পরিযায়ী শ্রমিকদের চলাচল) বন্ধ করতে পারি?’ শীর্ষ আদালত জানায়, পদক্ষেপ করার বিষয়টি রাজ্যগুলির উপর নির্ভর করছে। সংবাদমাধ্যমের ক্লিপিংয়ের উপর ভিত্তি করে তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সুপ্রিম আদালত।
মহারাষ্ট্রের মালগাড়ির তলায় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর প্রসঙ্গ আসলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা উল্টে প্রশ্ন করেন, “রেললাইনের ওপর কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কীভাবে আটকানো সম্ভব এই ঘটনা! কোনও বারণ না শুনে যাঁরা হেঁটে চলেছেন, তাঁদের আটকানোর উপায় কী?” কেন্দ্রের তরফে তুষার মেহতা অবশ্য জানিয়েছেন, পরিয়ায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে ইতিমধ্যেই গণপরিবহনের ব্যাবস্থা করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: অগস্টেই ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’, দু’মাস বিনামূল্যে খাদ্যশস্য ৮ কোটি পরিযায়ীদের : নির্মলা