রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবিরে হুড়োহুড়ি। ভিড়ে হুড়োহুড়ির চাপে পদপিষ্ট (Stampede) হলেন অন্তত ১২ জন। এঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ভরতি করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানেই চলছে চিকিৎসা। বাকিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্যাম্পের কাছেই। দুর্ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে ক্যাম্পের কাজ বন্ধ ছিল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, RAF মোতায়েন করে ফের তা চালু করা হয়। ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দাশনগরের বালটিকুরি এলাকায়।
আরও পড়ুন : উপনির্বাচন আটকাতে বিজেপির চিঠি, নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল
গেট খুলতেই ব্যাপক হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ভিড়ের ঠেলায় পড়ে যান অনেকে। প্রায় কয়েকশো মানুষের এই ঠেলাঠেলিতে পদপিষ্ট হয় অনেকেই।আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসনগর থানার পুলিশ। তাঁরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগায়।দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিক জায়গা থেকে অত্যাধিক ভিড় আর হুড়োহুড়ির খবর এসেছে। সেই অনুযায়ী সরকারের তরফে পদক্ষেপও করা হয়েছে। জেলাশাসকদের ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। কিন্তু এদিন হাওড়ায় যে ছবি দেখা গেল তাতে পরিস্থিতির কিছুমাত্র বদল হয়েছে বলে মনে হয় না।
নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ১০ টা থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প। তবে এই শিবির থেকে পরিষেবা নেওয়ার জন্য ভোরবেলা থেকেই দীর্ঘ লাইন পড়ে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ছবি এখন খানিকটা চেনা। মূলত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা পেতে ফর্ম ফিল আপের জন্যই এই শিবিরে ভিড় করছেন মহিলারা। সেভাবেই হাওড়ার (Howrah) দাশনগরের বালটিকুরির মুক্তারাম দে স্কুলে ক্যাম্প চালু হয়েছিল ১০ টা থেকে। কিন্তু তার আগেই ক্যাম্পের সামনে দীর্ঘ লাইন। তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এরপর স্কুলের গেট খুলতেই সকলেই হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে যান। তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এবং পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। অন্তত ১০ থেকে ১২ জন জখম হন।
আরও পড়ুন : ‘দুঃখ পেও না’, শ্রীলেখাকে সান্ত্বনা দিলেন তন্ময় ভট্টাচার্য, বিতর্ক সিপিএমে