The proposal of Vidhan Parishad passed in West Bengal Assembly by 196 votes

Vidhan Parishad: বিধান পরিষদ প্রস্তাব পাশ, ‘শূন্য’ সিপিএম-কংগ্রেসকে জায়গা দিতে চান মমতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রত্যাশানুযায়ী বিধানসভায় ভোটুভুটির মাধ্যমে পাশ হয়ে গেল রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব। মঙ্গলবার দ্বিতীয় অর্ধের অধিবেশনে দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন নিয়ে পাশ হয় এই প্রস্তাব। বিধান পরিষদ গঠনের সমর্থনে ১৯৬ টি ভোট পড়ে। অন্যদিকে, ৫৯ টি ভোট পড়ে এর বিরোধিতায়। প্রধানত বিজেপি বিধায়করাই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।

তবে বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও, বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সিলমোহর দরকার। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ঘুরে লোকসভা এবং রাজ্যসভা, সংসদের দু’কক্ষেই প্রস্তাবটি পাশ করাতে হবে। তার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর লাগবে। তবেই এ  রাজ্যে বিধান পরিষদ চালু হবে।

সংসদের মতো রাজ্যের আইনসভাও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষটি বিধান পরিষদ এবং নিম্নকক্ষটি বিধানসভা হিসেবে পরিগণিত হয়। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। ১৯৫২ সালের ৫ জুন ৫১ জন সদস্যকে নিয়ে বাংলাতেও বিধান পরিষদ গঠিত হয়। কিন্তু ১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ তার অবলুপ্তি ঘটে। সেই থেকে শুধুমাত্র বিধানসভার মাধ্যমেই শাসনকার্য পরিচালিত হয়ে আসছে রাজ্যে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বিধান পরিষদ গঠনের দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু কাজ এগোয়নি।

আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, পুলিশের গাড়িতে আগুন, অগ্নিগর্ভ বরাকর

সম্প্রতি তৃতীয় বার রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা। তার পরই নতুন করে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব তোলে তাঁর সরকার। মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে সেই নিয়ে ভোটাভুটি হলে বিধানসভার দুই তৃতীয়াংশ সদস্যই তাতে অনুমোদন দেন। কিন্তু এ নিয়ে তর্কবিতর্ক চলাকালীন আপত্তি তোলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বিধায়কদের উপর কি ভরসা নেই? ’’ একে কোটি কোটি টাকার দেনা, তার উপর কোভিডের প্রকোপ, এমন সময় বিধান পরিষদ গঠন করে বাড়তি খরচের কী প্রয়োজন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিধান পরিষদ গঠন করতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে যুক্তি দেন কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীও।

কিন্তু বিধানসভার উপ মুখ্য সচেতক তথা প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘‘বিধান পরিষদের গুরুত্ব কী, অনেকেই তা বোঝেন না। বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেস শূন্য। গণতন্ত্রের পক্ষে তা শুভ নয়। এক ব্যক্তি, এক নেতা পদ্ধতি সমর্থনযোগ্য নয়।’’ কিন্তু বিজেপি বিধায়করা চেঁচামেচি শুরু করলে, তাঁদের সামাল দিতে ফের এগিয়ে আসেন তাপস। তিনি বলেন, ‘‘স্মৃতি ইরানি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। তাঁকে শিক্ষা মন্ত্রী করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তাহলে রাজ্যসভা তুলে দেওয়া হোক। নিজেদের রাজ্যে বিধান পরিষদ থাকবে। অথচ বাংলায় থাকবে না। সংসদ বলতে যেমন দুই কক্ষ বোঝায়, তেমনই বিধান পরিষদ ছাড়া রাজ্য অসম্পূর্ণ।’’

আরও পড়ুন: ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সুলতান সিং

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest