Dattapukur Blast: Dattapukur Firecracker Factory blast death toll

Dattapukur Blast: দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত ৭, প্রাণ গেল কারখানার মালিকের পুত্র- বাড়ির মালিকেরও

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এগরা, বজবজের পর এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানা (Duttapukur Blast)। রবিবার সকালের ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্য়ুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, নিহতের সংখ্যা ৮। হাসপাতালে ভর্তি ৩ শিশু-সহ ২ জন। এতটাই তীব্র ছিল বিস্ফোরণ যে তার অভিঘাতে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে একাধিক দেহ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।

রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বিস্ফোরণের পরেই আহতদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়। ছ’জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। একজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আট জনের। তাঁরা হলেন, ২০ বছরের রেশমা খাতুন, ১৭ বছরের মাসুমা খাতুন, ৪০ বছরের আশুরা বিবি, সারিনা বিবি, ১৪ বছরের সানাউল আলি, ৫০ বছরের শমসের আলি, ৫২ বছরের সাইদুল আলি। আহতদের মধ্যে একটি ৮ বছরের বালকও রয়েছে।

আরও পড়ুন: Recruitment Scam : টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ৪ শিক্ষক গ্রেফতার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, শুধু কারখানার শ্রমিক নন, বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃত্যু হয়েছে পথচলতি মানুষেরও। এ ছাড়াও যে পাকা বাড়িটিতে বাজি তৈরি হত বলে জানা যাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে। সেই ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকেই আটকে থাকতে পারেন বলে তাঁদের আশঙ্কা। স্থানীয়দের দাবি, মৃতের সংখ্যা দশ পেরিয়ে যেতে পারে। এখনও ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। ফলে আরও কোনও দেহ ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে রয়েছে কি না, তা এখনও অজানা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের সহযোগিতায় এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই রমরমিয়ে বাজির কারবার চালানো হচ্ছিল। একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি, কেরামত আলি কারখানার মালিক। সেই কেরামত আলির ছেলে রবিউল আলির প্রাণ গিয়েছে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায়।মৃতদের তালিকায় রয়েছেন— সামসুল আলি, জাহিদ আলি নামে মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির ও তাঁর ছেলের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সামসুলের জমিতে কারখানা গড়ে তোলা হয়েছিল। কেরামতই সেই কারখানা চালাতেন। রবিউল ওই কারখানায় কাজ করতেন।

আরও পড়ুন: Misuse of Drinking Water: জল ‘চুরি’ বন্ধে আইন আনছে রাজ্য সরকার, জানালেন মন্ত্রী

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest