Durgapur : Mysterious death of four of the same family in Durgapur

Durgapur : ‘মা থাকো তুমি শান্তিতে, আমরা চললাম’, ফেসবুক পোস্টের পরেই একই পরিবারের ৪ জনের রহস্যমৃত্যু

একই পরিবারের চার জনের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হল দুর্গাপুরের কুড়ুলিয়াডাঙা এলাকায়। সেখানকার মিলনপল্লীতে এক ব্যাক্তি, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের দুই নাবালক সন্তানের দেহ পাওয়া গিয়েছে। ওই প্রৌঢ়ের নাম অমিত মণ্ডল। বাড়ির ভিতর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। ওই ঘরেই বিছানায় পড়ে ছিল তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের দেহ। তাদের এক জনের বয়স দুই, অন্য দনের দশ। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসী অমিতের বাড়ির সামনে জড়ো হন। তাঁদের দাবি, খুন করা হয়েছে ওই দম্পতি এবং তাঁদের সন্তানদের। দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এলাকাবাসী এবং মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে।

তাঁদের অভিযোগ সম্পত্তির জেরেই করা হয়েছে খুন। মৃত্যুর আগের হোয়াটঅ্যাপ মেসেজ নিয়ে বাড়ছে চাপানউতর। ওই মেসেজই আবার ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন অমিত। স্থানীয় বাসিন্দা তপন পাল বলেন, “ছেলেটির মায়ের সঙ্গে প্রায়শই সম্পত্তি নিয়ে ঝামেল হতো। যে অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে এটা কোনওভাবেই আত্মহত্যা নয়, এটা খুন। আগে খুন করে তারপর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” আর এক বাসিন্দা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গলায় দড়ি থাকলেও মাটিতে পা ঠেকে ছিল। হাতে দড়ি বাঁধা। ওই অবস্থাতেই ও পড়ে ছিল। কোন চক্রান্তের যে ওরা শিকার হয়েছে তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা চাই পুলিশ এর নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক। যাঁরা ওদের এত বড় সর্বনাশ করল তাঁদের যেন সাজা হয়।”

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: কলকাতার পথে কেষ্ট, শক্তিগড়ে কচুরি খাইয়ে বিল মেটালেন রহস্যময় তিনমূর্তি

স্থানীয়দের দাবি, অমিতের মামাতো ভাই এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে। অমিতের ফোনে প্রায়ই হুমকি দিয়ে তিনি মেসেজ করতেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এটি খুন না আত্মহত্যা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত্যু হয়েছে অমিত মণ্ডল (৩৬), তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডল (২৭) ও দুই সন্তান নিমিত মণ্ডল (৭) ও নিশিতা মণ্ডলের (১)।

এদিকে অমিতের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে তাতে লেখা, “WE QUIT! আমরা ৪ জন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমাদের মৃত্যুর পিছানে ২ জন দায়ী। আমার মা আর বর্ষা। মা, বর্ষা আর কৃষ্ণর যে এতো কেনও হিংসা আমাদের উপর আজও বুঝতে পারলাম না। আমরা তো তোমাদের কোনও ক্ষতি করিনি, বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমিই সব করেছি তোমাদের জন্য। এবার তোমরা বুঝতে পারবে আমরা না থাকলে তোমাদের কি হয়! তুমি থাকো মা তোমার ভাই-ভাইপোদের নিয়ে এবার শান্তিতে, আমরা চললাম, আমাদের কোনও দরকার নেই তোমার।” ইতিমধ্যেই অমিত মণ্ডলের মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Weather Update : রোববারেও ‘ছুটি’ নেই বৃষ্টির, সকাল থেকেই মুষলধারা