প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়লেন রাজ্য মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী। চার মন্ত্রীর মধ্যে তিন জন কিছু দিন আগেই নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
বুধবার নবান্নের সভাঘরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মন্ত্রিসভার প্রায় সকল সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ওই বৈঠকেই গঙ্গার পাড় ভাঙন থেকে শুরু করে পরিবহণ ও পর্যটন সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়। তখনই চার মন্ত্রী – পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়ের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা ব্যানার্জি বাবুল সুপ্রিয়র উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তুমি গানের জগতের সাথে যুক্ত ছিলে। কিন্তু এটা তোমার গানের জগৎ নয়। ইন্দ্রনীল এই দপ্তর সামলেছে। তুমি ওর সাথে যোগাযোগ করে কাজ করবে।’ পাশাপাশি পরিবহণ দপ্তরের কাজেও ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণ মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, তারাপীঠে বাস টার্মিনাসের জন্য ১ কোটি টাকা খরচ করা হলেও এখনও কেন টার্মিনাস তৈরি হয়নি?
সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কাজেও সন্তুষ্ট নন তিনি। কিছু দিন আগেই মিডিয়ার সামনে পার্থ ভৌমিককে বলতে শোনা গিয়েছিল গঙ্গার পাড় ভাঙনের জন্য কেন্দ্র টাকা না দিলে রাজ্য সরকারই সারাইয়ের কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু খবর করার জন্য বাড়তি কথা বলে দিলে হবে না। তোমরা শুধু বিবৃতি দিয়েই খালাস। টাকা কোথা থেকে আসবে?
পুলক রায়ের উদ্দেশ্যেও কড়া বার্তা দেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু কাজের যা গতি তাতে সময়ের মধ্যে কাজ হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। আমি কি তাহলে সকলের কাছে মিথ্যাবাদী হবো তোমাদের জন্য? কাজের গতি বাড়াতে হবে।’
উল্লেখ্য, এই চার মন্ত্রীর মধ্যে নতুন করে শপথ নিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, পার্থ ভৌমিক এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পুলক রায় আগে থেকেই নিজের দপ্তর সামলাচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তায় কি কাজের গতি বাড়বে? সেটাই এখন দেখার।