Sagardighi By Election: This is the first time Sagardighi got a minority MLA, TMC looking for the reason for defeat.

Sagardighi By Election: এই প্রথম সাগরদিঘি পেল সংখ্যালঘু বিধায়ক, মুখ লুকিয়ে হারের কারণ খুঁজছে তৃণমূল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ঘোষিত হল সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফল। তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২,৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর একদা ‘গড়’ মুর্শিদাবাদেই খাতা খুলল কংগ্রেস। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনেও জয়ী হয়নি কংগ্রেস। তবে উপনির্বাচনে জয়ের পর এ বার রাজ্য বিধানসভাতেও প্রতিনিধি পাঠাতে চলেছে হাত শিবির। গত বিধানসভায় সাগরদিঘিতে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, অধুনা প্রয়াত সুব্রত সাহা। সেই আসনে মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে দল প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারল কীভাবে, তা নিয়ে জোড়াফুল শিবিরেও চর্চা শুরু হয়েছে।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা জয়ী হয়েছিলেন ৫০,৮০০-র কিছু বেশি ভোটে। তবে ২০১১ সালে ‘পরিবর্তন’-এর সময় থেকেই ধারাবাহিক ভাবে তৃণমূলের পাশে ছিল সাগরদিঘি। ২০১৬ এবং ২০১১ সালেও ওই আসন থেকে জিতেছিলেন প্রয়াত সুব্রত। তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তাঁর অকালপ্রয়াণের জন্যই সেই আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। যেখানে হেরে গিয়েছে সুব্রতের দল।

তৃণমূলের পরাজয়ের একাধিক কারণে মধ্যে অন্যতম বলে যা মনে করা হচ্ছে, তা হল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে একক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে রাখা। গত ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় কর্মসূচি পালনে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক (বিজেপি ছাড়া ২০২১ সালে বিরোধীদের মধ্যে নওশাদই একমাত্র জিতেছিলেন) নওশাদ ও তাঁর দলের কর্মীরা। ওই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ফুরফুরা শরিফের পিরজাদাদের বংশধর নওশাদকে জামিন না দিয়ে একের পর এক থানায় নানা ধারায় মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল আইএসএফ।

আরও পড়ুন: Lokkhir Bhander : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় ষাটোর্ধ্ব মহিলারাও, মাসে পাবেন ১ হাজার টাকা

ঘটনাচক্রে, নওশাদ ফুরফুরা শরিফের অন্যতম পিরজাদাও। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, নওশাদের মতো একজন ধর্মীয় এবং সংখ্যালঘু নেতাকে দীর্ঘদিন জেলে আটকে রাখার বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেননি সাগরদিঘির সংখ্যালঘু ভোটাররা। প্রসঙ্গত, সাগরদিঘির ৬৪ শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম সাগরদিঘি কোনও সংখ্যালঘু বিধায়ক পেল। উপনির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে একমাত্র কংগ্রেসই সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়েছিল। যে সূত্রে তৃণমূলের একাংশ এ-ও মনে করছে যে, দল কোনও সংখ্যালঘু মুখকে প্রার্থী করলে অন্য ফল হতে পারত সাগরদিঘিতে। পর পর তিন বারের জেতা আসন হাতছাড়া হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের তলব করতে পারে বলে সূত্রের খবর।

একুশের ভোটে ইতিহাস হয়েছিল। বাংলায় বাম-কংগ্রেসের একজনও প্রতিনিধি জিততে পারেননি। যা স্বাধীনতার পর কখনও হয়নি। বাইরন বিশ্বাসের জয়ে জয়ে যেন সেই কলঙ্ক ঘুচল। কিন্তু তাঁর জয় স্পষ্ট হতে এই প্রশ্নও তৈরি হচ্ছে যে, বাইরন কংগ্রেসে কতদিন থাকবেন? মাস কয়েক বাদেই শিবির বদল করে ফেলবেন না তো! এই প্রশ্ন শুনেই বাইরন দৃঢ় গলায় জানিয়েছেন, ‘লিখে রেখে দিন, তৃণমূল আমায় কিনতে পারবে না। দরকারে আমি তৃণমূলকে কিনে নেব।’

আরও পড়ুন: Sagardighi By Election: সাগরদীঘিতে ভরাডুবি তৃণমূলের, বিধানসভায় খাতা খুলল কংগ্রেস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest