অবশেষে আবিষ্কার হল করোনাভাইরাসের টিকা! এবার দাবি নাইজেরিয়ার বিজ্ঞানীদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: করোনা-সংক্রমণের মাত্রা ঊর্ধ্বগামী। বিশ্বের প্রায় সব দেশের এই দশা। প্রতি দিন করোনা-রহস্য ক্রমেই জটিল হচ্ছে। প্রতিষেধকের খোঁজ নেই, অথচ সংক্রমণ ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে। ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মৃত্যু। তবে, এবার সারা বিশ্বের মানুষের কাছেই স্বস্তির খবর। এই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করলেন নাইজেরিয়ার বিজ্ঞানীরা।

করোনা-টিকা আবিষ্কার নিয়ে এই দাবি একপ্রকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ এমন দাবি করছেন। অথচ করোনা সংক্ৰমণ থমকে না। বন্ধ হচ্ছে না মৃত্যু মিছিল। কেবল বিজ্ঞানী মহলে নয়, এদেশে আম আদমীও করোনা দূর করার নানা টোটকা বাতলাচ্ছে রোজ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যোগ করলে করোনা প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। গো মূত্রের সেবনের কথা গোড়ার দিকে গেরুয়া দলের লোকজন যেমন বলেছিল, পরে তা নিয়ে তেমন একটা তারা উচ্চ -বাচ্চ করছে না।

আরও পড়ুন : পরীক্ষা হচ্ছে বলেই করোনা বেশি মনে হচ্ছে, এবার আর পরীক্ষা নয়, ফরমান ট্রাম্পের

শুক্রবার নাইজেরিয়ান ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেন, সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে কোভিড১৯-এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন তাঁরা। তবে এই ভ্যাকসিন আপাতত আফ্রিকায় আক্রান্তদের জন্য ব্যবহার করা হবে। এরপরে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই বিশেষজ্ঞরা।

ভ্যাকসিন আবিস্কারক দলের প্রধান গবেষক ও মেডিক্যাল ভাইরোলজি স্পেশালিস্ট ড. ওলাদিপো কোলাওলে একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, টিকাটির নামকরণ এখনও হয়নি। নামহীন এই টিকাটি শুধুমাত্র আফ্রিকার মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে পরে পরে এই টিকা সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়বে।

তিনি বৈঠকে আরও জানান, ‘দলের গবেষকরা আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকায় কোভিড ১৯ জিনোম সিকোয়েন্স সংগ্রহ করেন। সেটার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে এই টিকা। এধরণের বৈশ্বিক মহামারীর সমাধান খুঁজে পাওয়াটা আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ভ্যাকসিনটি একেবারে খাঁটি। এটা ভুয়ো হতে পারে না। বেশ কয়েকবার যাচাইয়ের পরই বিশ্বের সামনে এই ঘোষণা করতে এগিয়ে এসেছি।’

নামহীন এই ভ্যাকসিনটি বিশ্বের সামনে মুক্তি পেতে আরও ১৮মাস সময় লাগবে। চিকিৎসক কোলাওলে জানিয়েছেন, বিশ্ববাসীর জন্য এখনও দরকার আরও পরীক্ষা, পড়াশোনা, মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে লাগাতার পরামর্শ ও অনুমতির পর এই ভ্যাকসিন সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন : সাহারা মরুভূমি থেকে ধেয়ে আসছে দু’‌হাজার মাইল লম্বা ধুলোর ‘‌ঝড়’‌, চরম সতর্কবার্তা নাসার

Gmail 4
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest