নয়াদিল্লি: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ হাজার। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সকাল ৮টার বুলেটিনে দেখা গেছে, দেশে সংক্রামিতের সংখ্যা ২৩,০৭৭। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এই সংক্রামিতের সংখ্যাই ছিল ২১,৩৯৩। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে আরও ১৬৮৪ জন। দেশে এখন মোট অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৭,৬১০।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মোট মৃত্যুসংখ্যা গিয়ে ঠেকল ৭১৮-তে। মৃতদের মধ্যে ৪ মাসের এক শিশুও রয়েছে। গত ২২ এপ্রিল শিশুটির দেহে কোভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়ে। কেরলের কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছিল তার। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। জানুয়ারির শেষ দিকে এই কেরলের হাত ধরেই ভারতে করোনাভাইরাস প্রবেশ করেছিল। তবে রাজ্য সরকারের সক্রিয়তায় প্রকোপ অনেকটাই ঠেকানো গিয়েছিল। এই নিয়ে নোভেল করোনার প্রকোপে সেখানে তৃতীয় জনের মৃত্যু হল।
রাজস্থানেও নতুন করে ৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে জয়পুর থেকেই ১৩টি ঘটনা সামনে এসেছে। কোটায় ১৮ জন, ঝালাওয়ারে ৪ জন এবং ভরতপুরে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে রাজস্থানে এই মুহূর্তে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার জের: জন্মদিন উদযাপনে ‘না’ সচিনের, ভিডিও পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানাল BCCI
তবে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রেই করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩০-এ গিয়ে ঠেকেছে। যার মধ্যে বৃহস্পতিবারই ৭৭৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ২৮৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে। বৃহস্পতিবার প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। শুধুমাত্র মুম্বইতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মায়ানগরীতে মৃতের সংখ্যাও বেড়ে ১৬৭ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৫১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ জন। তবে নবান্নর তরফে দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে ৩৩৪ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৪ মে-র পর ধাপে ধাপে লকডাউন তোলা উচিত, চান ‘নাগরিক’ মমতা