এমনিতেই করোনার অতিমারির আবহে দেশ জুড়েই যখন কর্মসংস্থানের সঙ্কট। সে সময় মধ্যপ্রদেশ সরকার নতুন সিদ্ধান্তে নিয়েছে যে সেখানে কেবল মধ্যপ্রদেশের লোকেরাই সরকারি চাকরি পাবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।
শনিবার স্বাধীনতা দিবসে শিবরাজের ঘোষণা ছিল, “সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মধ্যপ্রদেশের যুবসম্প্রদায়কে। যখন কর্মসংস্থানের সুযোগ অমিল, সে সময় রাজ্যের যুবসম্প্রদায়ের জন্য ভাবনা-চিন্তা করাটা আমাদের কর্তব্য।” তবে তার তিন দিনের মাথায় সেই প্রতিশ্রুতিকে সিদ্ধান্তে পরিণত করলেন শিবরাজ। এ দিন তিনি বলেছেন, “স্থানীয় যুবক-যুবতীদের তাঁদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির নম্বরের ভিত্তিতে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এখটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া চালু করা হবে।”
আরও পড়ুন : তথাগত কি ফের ফিরছেন বঙ্গ রাজনীতিতে, টুইটে এ কীসের ইঙ্গিত!
একটি ভিডিয়ো বার্তায় সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, “আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। আমরা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যাতে মধ্যপ্রদেশের সমস্ত সরকারি চাকরিতে শুধুমাত্র এ রাজ্যের যুবসম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাই সুযোগ পান।” সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “মধ্যপ্রদেশের সম্পদের উপরে কেবলমাত্র এ রাজ্যের ভূমিপুত্রদেরই অধিকার রয়েছে।”
আসলে এর পিছনেই কমলনাথের চাপ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এমনিতে শিবরাজ মধ্যপ্রদেশে কুরসী জয় করেননি। উনি আসলে কুশ্রী ফায়ার পেয়েছেন ছকে। ভোট নয়। কংগ্রেসের সেখানে মাটি ভালোই শক্ত। কুর্সিতে বসেই কমলনাথ মধ্যপ্রদেশের স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেগ কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। তাতে সাড়া মিলছিল ভালই। সেটা খেয়াল করেছেন শিবরাজ। এমনিতেই মানুষের হাতে কাজ-কাম নেই। মানুষের মনে হতাশা ও বিক্ষোভ বাড়ছে। এমন অবস্থায় এরকম একটা কথা বলে তিনি মধ্য প্রদেশের বাসিন্দাদের বোঝাতে চাইছেন যা চাকরি আছে সবই তারাই পাবে। অন্য কেউ তাতে হাত দিতে পারবে না।
এটা আসলে সাইকোলজিক্যাল গেম। এতে চাকরি কবে হবে তার ঠিক নেই। কিন্তু সেখানকার মানুষের আবেগ নিয়ে একদফা রাজনীতি হবে। তবে বিরোধীরা কি সহজে ছাড়বে। ফের কি একবার ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা উঠবে না ?
আরও পড়ুন : বিনা মেঘে বজ্রপাত! ভাইরাল ভিডিও দেখে হইচই সোশ্যাল সাইটে