এবার মাদ্রাজ় হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা হল।
এই নোটিসে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের জীবন সম্পর্কে ভারতীয় তারকারা একেবারেই অবগত নন। তাঁরা শুধুমাত্র নিজেদের মুনাফার কথাই চিন্তা করেন। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন রুপোলি পর্দার তারকাদের বিরুদ্ধেও এই নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন প্রকাশ রাজ, তামান্না ভাটিয়া, সুদীপ এবং রানা।
Are you in or are you out?? #PlayWithChampions only on #My11Circle!?? Make your team now!
Download the App Now – https://t.co/uITtPIvL2E
.@SGanguly99 pic.twitter.com/P05BE2U8Zz— My11Circle (@My11Circle) September 16, 2020
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মাদ্রাজ হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন মহম্মদ রিজভি নামে এক আইনজীবী । এই ধরনের অ্যাপে টাকা খুইয়ে রাজ্যের বেশ কয়েকজন তরুণ পরপর আত্মহত্যা করেন। আর সেকারণেই মামলা দায়ের করেন রিজভি।
আরও পড়ুন : করোনা থেকে সেরে উঠে ভাল থাকতে কী কী খেতেই হবে, জেনে নিন
সেই মামলার শুনানিতেই নিজেদের পর্যবেক্ষণে বিচারপতিদের বেঞ্চ বলে, এই ধরনের অ্যাপগুলোতে চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings), রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) মতো IPL–এর দলের নাম রয়েছে।এরা কী রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছে। এরপরই এই অ্যাপগুলোর মালিককে নোটিস পাঠানোর কথা বলে আদালত। পাশাপাশি এগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য বিরাট–সৌরভদের মতো তারকাদের কাছ থেকেও জবাব চাওয়া হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই যে কোনও ধরনের অনলাইন গেমিং, অনলাইন বেটিং এবং জুয়া খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। গত বৃহস্পতিবার এই মর্মে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি ১৩২টি এইধরনের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে, যাতে এই অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটগুলির অ্যাকসেস অন্ধ্রপ্রদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এই তালিকায় ড্রিম-১১’কে রাখা হয়নি। প্রসঙ্গত, চলতি আইপিএলে ড্রিম-১১’ই মূল স্পনসর। কেন এই অ্যাপটিকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হল, সেই ব্যাপারে এখনও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগমোহন রেড্ডি জানিয়েছেন, এই অনলাইন গেমিং তো জুয়ারই একটা প্রকার। সেই কারণে এই খেলায় আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ মোটা আর্থিক ক্ষতির দিকে পা বাড়াচ্ছেন। সেকারণে হিংসাত্মক ঘটনাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে।
বাইশ গজের লড়াইয়ের মতোই প্রযুক্তি নির্ভর প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্যান্টাসি ক্রিকেট। বাড়ি বসে মগজ খাটিয়ে দল সাজাতে পারলেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায় টাকা।গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর এমনিতেই সাধারণ মানুষের জীবন আর্থিকভাবে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় এই ধরনের গেমের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই সর্বহারা হচ্ছেন। সেকারণে অবিলম্বে এই ব্যবসা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : জন্মদিনের পরেই হাসপাতালে ভর্তি মারাদোনা, উদ্বিগ্ন ভক্তরা