রবিবার ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা টেঙ্গারা প্রদেশে ইলি লিউওটোলোক আগ্নেয়গিরি হঠাৎই জেগে উঠেছে। জাগ্রত আগ্নেয়গিরির প্রভাবে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ওই অংশের চার কিলোমিটার এলাকা। ছাইয়ের পুরু স্তর পড়ে গিয়েছে রাস্তায়। এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রায় ২৭০০ মানুষকে।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যে কোনও দেশের তুলনায় সংখ্যাটা অত্যধিক মাত্রায় বেশি। পুরো মাত্রায় উদ্গিরণের আগে কখনও ১ মাস, কখনও বা কয়েক সপ্তাহ ধরে এগুলি সামান্য সক্রিয় থাকে। তখনই ছাই ছড়িয়ে পড়ে এগুলি থেকে।
আরও পড়ুন: ধর্ষকের শাস্তি পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়া, সিদ্ধান্ত সিলমোহর ইমরানের
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ২৬০০ কিলোমিটার পূর্বে হঠাৎই এই আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই, লাভা বেরিয়ে আসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যান। অনেককে উদ্ধার করে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
দেশের আগ্নেয়গিরি ও ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন অঞ্চল প্রচণ্ড গরম ধোঁয়া, লাভাস্রোত, লাভাধস ও বিষাক্ত গ্যাসে পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেখানে প্রাণের চিহ্ন আশা করা অর্থহীন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘটনা সবে শুরু হয়েছে। এর পর আগ্নেয়গিরি থেকে ক্রমাগত লাভা উদ্গিরণের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে গরম মেঘ, লাভা স্রোত, লাভা-ধস ও বিষাক্ত গ্যাসে ছেয়ে যেতে পারে এলাকা। আপাতত ইন্দোনেশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে হার মানলেন ট্রাম্প, তবে ভোটচুরির অভিযোগে এখনও অনড়