“দেশে গণতন্ত্র নেই। যাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তাঁরাই সন্ত্রাসবাদাবীর তকমা পাবেন।” এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
বৃহস্পতিবার রাহুল নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। কৃষি আইন বিরোধী দু’কোটি কৃষকের স্বাক্ষর করা স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির কথায়, “ভারতে কোনও গণতন্ত্র নেই। প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করলেই সন্ত্রাসবাদী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হবে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও যদি মোদির বিরোধিতা করেন, তবে তাঁকে জঙ্গি বলা হবে।”
আরও পড়ুন: ঠিক ব্রিটিশের কায়দায় দেশ ভাগের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি, তোপ অধীররঞ্জন চৌধুরীর
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির কথায়, “ভারতে কোনও গণতন্ত্র নেই। প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করলেই সন্ত্রাসবাদী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হবে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও যদি মোদির বিরোধিতা করেন, তবে তাঁকে জঙ্গি বলা হবে।”
দুকোটি কৃষকের স্বাক্ষর নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। ওই দলে রাহুল গান্ধী ছাড়াও ছিলেন গুলাম নবি আজাদ, অধীর রঞ্জন চৌধুরি। তাঁরা কৃষকদের স্বার্থে এই আইন প্রত্যাহার করতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেন। পাশাপাশি, সংসদে যৌথ অধিবেশন ডাকার আরজিও জানিয়েছে কংগ্রেস।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাহুলের খোঁচা, “এটা সকলের জানা উচিত, দেশের প্রধানমন্ত্রী আদপে কিছুই জানেন না। তিনি চূড়ান্ত অযোগ্য। তিন-চারজন শিল্পপতির স্বার্থরক্ষা করতে দেশ চালাচ্ছেন। কৃষক, শ্রমজীবীদের প্রতি ওঁনার কোনও সমবেদনা নেই।”
ইউপিএ জমানায় মোদী বাবু এবং তার কোম্পানি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে, কৃষকদের সমস্যা নিয়ে নাকে কাঁদতেন। এখন তারাই কুর্সিতে। কিন্তু সেসব আর তাদের মনে নেই। এখনও তারা যে উত্তর রেডি করে রেখেছেন, যেগুলি বিরোধী বেঞ্চে থাকালীন রেডি করেছিলেন। মোদী বাবু এবং তার দলবল সেই পুরনো উত্তরগুলি সঙ্গে নিয়েই চলেন। সে কারণে বিজেপি নেতাদের মুখে কখনও নেহেরু তো কখনও ইন্দিরা। কখনও সোনিয়া তো কখনও মনমোহন। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের ‘মেজদাকে’ ‘বড়দা’ বলে বেমালুম ভাষণ দিলেন মোদী