বছরের প্রথম দিন, থেকেই মুখে আগুন লাগাতে, লাইনে দাঁড়িয়ে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা! আর জলে আগুন লাগানোর জন্য তৈরি ফুচকা বিক্রেতা সন্তু!
গুপচুপ, বাতাসি, পাকরা, টিক্কি, ফুলকি, পানি কে বাতাসে, পাকোরি ,পানিপুরি, গোলগাপ্পা সামবেদ এ বিভিন্ন ডাকনাম থাকলেও বাংলায় আমরা ফুচকা বলেই পরিচিত ছয় থেকে ষাট সকলে।
আরও পড়ুন: বড়দিনের কেক থেকে নলেন গুড়ের পিঠে… এবার এক ফোনেই পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে
বর্তমানে যেটি এখন পশ্চিম মধ্য বিহার তা এককালে মগধ সাম্রাজ্য ছিল, ফুলকি অর্থাৎ আমাদের ফুচকা সেখানেই প্রথম আবিষ্কার হয় বলে মনে করেন অনেকে। অঞ্চলভেদে এরপর উপকরণ ভেদে আলু, সবজি, স্যালাড, ঘুগনি, দই ব্যবহৃত দেখা হতে দেখা যায় পুর হিসেবে। আবার তেঁতুল জলের পরিবর্তে ধনে পাতার চাটনি, পুদিনা মিশ্রিত জল, মিষ্টি খেজুর জল, লেবুর জলে ডুবিয়ে পরিবেশন করতে দেখা যায়।
তবে যতো ভিন্ন স্বাদেরই থাকুক না কেন! এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নতুনত্বের কদর করে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী পানের মধ্যে আগুন ধরিয়ে মুখে ঢোকানোর, ব্যবস্থা থাকলে ফুচকার মধ্যে নয় কেন? নদীয়া জেলার শান্তিপুর শহরের স্টেডিয়ামপাড়া’র বাসিন্দা সন্তু মন্ডল, সদ্য স্নাতক হওয়ার পরই, পিতৃহারা হয়। ওপেন ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার ডিগ্রী পড়ার সাথেই, সংসারের হাল ধরতে বাবার বহু পুরনো ফুচকার ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছে।
তবে এ প্রজন্মের ছেলে! তাই বাবার সাবেকি ব্যবসার হাল ফেরাতে ধরেছেন নতুন নতুন পদ্ধতি।। শান্তিপুর লাইব্রেরী মাঠের পাশে সন্তুর সন্ধ্যাকালীন ফুচকা খেতে, ভিড় পরে বিকাল থেকেই! সন্তুর আগামী আকর্ষণ থাকছে মিনি ফুচকা, সে জানায় ছোটদের জন্য চকলেট, ভ্যানিলা, বিভিন্ন ফ্রুটস ফ্লেভার ফুচকার ব্যবস্থা থাকলেও, আকারে তাদের মুখের থেকে অত্যন্ত বড় হওয়ায়, অসুবিধার সম্মুখীন হয় অনেকেই, তাই মিনি ফুচকা মিলবে শীঘ্রই।
আরও পড়ুন: ডালগোনা কফি থেকে হোমমেড ফুচকা, বছরভর ভাইরাল এই ৬ খাবার