লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা জেলায় জেলায়। বীরভূমের (Birbhum) মুরারইতে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট কমপক্ষে ৭ জন। অন্যান্য জেলাতেও ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। পূর্ব বর্ধমানে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ঘুরে দেখলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath)।
দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বর্ধমানের টাউনহল। লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বচসা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গেল। রক্তপাতও হয়েছে। অভিযোগ, এক বৃদ্ধাকে হেলমেট দিয়ে মারা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থানার পুলিশ (Bardhaman Police)। তাঁদের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) বন্টনের কাজ শুরু হয়।
একুশের ভোটের আগে কিছু মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাননি। তাঁদের ভোটের পর কার্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী সোমবার বর্ধমানের টাউন হলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হয়। ভোররাত থেকেই ক্যাম্পের বাইরে লম্বা লাইন পড়ে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সিআইডির জালে মূল অভিযুক্ত, গ্রেফতার দিল্লি থেকে
ক্যাম্পের এই লাইনকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের বচসা শুরু হয়ে যায়। রাহুল মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, তাঁর দিদা রাধা মণ্ডল লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় কিছু মানুষ বেলাইনে কার্ড নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকে। রাধাদেবীর অভিযোগ, তাঁকে হেলমেট দিয়ে মারা হয়। ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে অপ্সরা গুপ্তের অভিযোগ, তাঁর বৃদ্ধ শ্বশুরকে মারা হয়েছে। মেরে ছেলের ঠোঁট ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ মারের হাত থেকে বাদ যাননি অপ্সরাদেবীর স্বামীও। দুই পক্ষের বচসা বেশ কিছুক্ষণ চলতে থাকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে বর্ধমান থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তারপর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বন্টনের কাজ শুরু হয়। দুই পক্ষই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: Covid ধাক্কা সামলে Darjeeling এ ফের ছুটল টয়ট্রেন, Queen Of Hills-এ শুরু জয়রাইড