মাস শেষেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন (Bhabanipur Bypolls)। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। রবিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সেরে ফেললেন জনসংযোগ। লিখলেন দেওয়ালও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিরুদ্ধে প্রার্থী তিনি. তবে এই বিষয়টা তিনি খুব বেশি আমল দিতে চাইছেন না বলে স্পষ্ট বলে দিলেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তিনি বলেন, “জয় নিয়ে আমি পুরোপুরি আশাবাদী কারণ আমি মানুষের জন্য লড়াই করছি। বিধানসভা নির্বাচনে খুনের খেলা খেলেছে ওরা। এবারও যদি তাই করে তাহলে তো গণতন্ত্রের কোনও মানে হয় না। এই সরকার খুনীদের সাপোর্ট করেছে। এর প্রতিবাদে আওয়াজ তুলতে হবে।”
আরও পড়ুন: রাজনীতি ছাড়লেও ভবানীপুরে বিজেপির তারকা প্রচারক বাবুল সুপ্রিয় !
তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, “ভবানীপুরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ভোট করতে দিতে হবে। শুধুমাত্র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডে বেশী ভোট হয়। বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ভোট দিতে দেওয়া হয়না বলে তার অভিযোগ।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে তিনি বলেন, “কোভিড থাকা সত্বেও মুখ্যমন্ত্রী কে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হবে তাই ভবানীপুরের এই নির্বাচন। ক্ষমতা ছাড়তে চাইছেন না তাই এই নির্বাচন।”
শনিবার রাতের হেস্টিংসের বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Tibrewal) কর্মসূচি। সেই মতো এদিন সকালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে হাজির হন তিনি। পরনে জিনস, কালো-গোলাপি জ্যাকেটের সঙ্গে গলায় ছিল দলীয় উত্তরীয়। প্রাতঃভ্রমণ সারতে সারতেই কথা বললেন উপস্থিত মানুষজনের সঙ্গে। ‘চায়ে পে চর্চা’র বদলে সারলেন ‘আখের রস পে চর্চা’। প্রাতঃভ্রমণ সেরে মাটির ভাঁড়ে আখের রসে চুমুক দিলেন বিজেপি প্রার্থী। নিজে হাতে পেষাই করলেন আখও। পরে অবশ্য চা খেতে খেতেও সারলেন জনসংযোগ (Election Campaign)। শুধু রাস্তায় নয়, রাস্তার দু’পাশে থাকা দোকানে-দোকানে ঢুকেও কথা বলেন তিনি। সকলের ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা জানতে চান তিনি। তুলে ধরেন নিজের উন্নয়ন পরিকল্পনাও।
তবে ভবানীপুরে নির্বাচনী প্রচার ও ভোট সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব বন্টন নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ‘ভূমিপুত্র’দের বদলে ৮ ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন বিভিন্ন জেলার বিজেপি (BJP) নেতারা। যা নিয়ে দলের অন্দরেও ক্ষোভ রয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা অন্দরের সেই ক্ষোভ মুছে কীভাবে প্রচারে ঝড় তোলেন, তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: অনুমোদন ছাড়াই কেন নারদ মামলায় চার্জশিট? CBI ও ED-কে নজিরবিহীন ‘তলব’ স্পিকারের