সমাজে সবচেয়ে অবহেলার শিকার এখন অসহায় প্রবীণরাই। প্রবীণরা অসুস্থ, অসহায়, অবহেলিত, নিঃসঙ্গ ও সেবাহীন জীবনযাপন করছেন। বার্ধক্যের অসহায়ত্ব মোকাবেলায় সবাইকে ভাবতে হবে। কারণ, আজ যে টগবগে যুবক কাল তিনি হয়ে যাবেন এক অসহায় প্রবীণ। বার্ধক্য সবাইকে ছুঁয়ে যাবেই। বিশ্ব প্রবীণ দিবস আজ।
১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতি বছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালন শুরু হয়। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টিই দিবসটি পালনের মূল লক্ষ্য। এবার দিবসটির থিম – ‘ডিজিটাল সমতা সকল বয়সের প্রাপ্যতা’।
আরও পড়ুন: কলকাতার রসগোল্লার স্বাদে মজলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার, বাংলায় ট্যুইট করে উচ্ছাস
অনলাইনে বাজার, বিল পেমেন্ট ঘরে বসে—সময়ের এই সুবিধাগুলো নিতে চাইলেও তো জানতে হবে প্রযুক্তি। হাতের মুঠোয় বিশ্বকে এনে দিয়ে লাভ কী, যদি সেটা সব বয়সের মানুষই ব্যবহার করতে না জানে। সেই বিষয়টিই এবার মূল আলোচনার বিষয়। তাঁদেরকে এর আওতায় আনা শুধু নয়, তাঁদের অংশগ্রহণ যাতে অর্থবহ হয়, সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ৬০ বছর ও তদুর্ধ্ব এবং উন্নত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ৬৫ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি, সচেতনতা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন মৃত্যুহার যেমন হ্রাস করেছে; পাশাপাশি মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ফলে বিশ্ব সমাজে বয়স্কদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: সাগরে ভেসে এসেছে ৩০ হাজার কেজির তিমি! চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয়দের