কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে কড়াভাবে কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে পুজো মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণের আবেদন করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল আদালতে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই রায় দিল হাই কোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে দুর্গাপুজোর সময় হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, যাঁরা কোভিডের দু’টি টিকা নিয়েছেন, তাঁরাই যেন মণ্ডপে ঢুকতে পারেন। পুজো কমিটিগুলিকে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও করতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
এ বার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার বেঞ্চের নির্দেশ, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় রোখার জন্য সব রকম জরুরি পদক্ষেপ করতে হবে। শুধু মাস্ক পরা বা দু’টি টিকা নেওয়া থাকলেই পুজো মণ্ডপে অবাধে ঢোকা যেতে পারে না। সাধারণ মানুষেরও কিছু দায়িত্ব থাকা উচিত।
নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘শবরিমালা, জলিকাট্টু, দুর্গাপুজোর মতো উৎসবে মানুষকে আটকানো মুশকিল। দুর্গাপুজোয় স্বভূমির ‘বুর্জ খলিফা’ প্যান্ডেলের কারণে আমার অন্তত তিন জন সহকর্মীর গাড়ি দু’-তিন ঘণ্টার জন্য আটকে পড়েছিল। বেশ কয়েক বছর আগে দেশপ্রিয় পার্কেও এই ঘটনা ঘটেছিল।’’
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রেখে এ দিন হাই কোর্টের নির্দেশ, প্যান্ডেল কত বড়, তা মাথায় রেখেই নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শনার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময় মানুষের অসচেনতার মাশুল গুনতে হচ্ছে রাজ্যকে। যে দৈনিক সংক্রমণ একটা সময় অনেকটা নেমে গিয়েছিল, তা আবারও ১,০০০-এর কাছে পৌঁছে গিয়েছে। টানা কয়েকদিন দৈনিক সংক্রমণ ৯০০-র উপরে আছে। বিশেষত উদ্বেগ বাড়িয়েছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ন’টা পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫,৯৪,৪৯৫। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮৬২ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। জেলাভিত্তিক সংক্রমণের শীর্ষে আছে কলকাতা (২৪৯), উত্তর ২৪ পরগনা (১৩৫) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৮৮)। এমনকী কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: