Lettuce At Home: টবে লেটুস চাষ করবেন যেভাবে…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সময় বদলে গেছে। এখন শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য সাধারণ জমি কিংবা বাগানই একমাত্র ভরসা নয়। আধুনিক চিন্তা-বুদ্ধি প্রয়োগ করে শহরেও শাক-সবজি উৎপাদন করা যায়। জমি না থাকে তাহলে বাসা-বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় বড় বড় টবে, মাটির চাঁড়িতে, ড্রামে কিংবা একমুখ খোলা কাঠের বাক্সে সার মাটি ভরে অনায়াসেই শাকসবজি চাষ করা যায়। এবার জেনে নিন টবে লেটুস চাষ করবেন যেভাবে।

লেটুস পুষ্টিকর সালাদ জাতীয় সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে। কাজেই সুষম খাদ্যের জন্য লেটুস বেশ প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন তাজা লেটুস পাতা খাওয়ার জন্য টবে এর চাষ পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক।

টবের মাটি: গাছের বৃদ্ধি এবং সবজি জাতীয় ফলনের জন্য মাটি অবশ্যই উর্বর, হালকা এবং ঝুরঝুরে হতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে টবের মাটিতে যেন ফেটে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টবের মাটি ঝুরঝুরা রাখতে হলে সমপরিমাণে দো-আঁশ মাটি ও জৈব সার একসাথে ভালোভাবে মেশাতে হবে।

এঁটেল মাটিতে জৈব সারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। সাধারণভাবে প্রতি টবের মাটিতে চা চামচের চার চামচ টিএসপি সার ও ৫ থেকে ৬ দিন আগে ভেজানো ১১৬ গ্রাম পরিমাণ সরিষার খৈল মেশানো যেতে পারে।

ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি পর্যন্ত অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বীজ থেকে চারা তৈরি করে টবে লাগাতে হবে।

গামলা টবে বীজ বুনলে ৩ থেকে ৪ দিনে চারা গজায়। চারার ৪ থেকে ৫টি পাতা গজালে টবে লাগাতে হয়। লেটুসের জন্য খুব বড় টবের প্রয়োজন হয় না।

আরও পড়ুন: রসুনের বিকল্প! বাড়ির টবে লাগান গার্লিক ভাইন, শিখে নিন পদ্ধতি…

চারা রোপণের সময় চারার গোড়ার মাটি খুবই হালকাভাবে চেপে দিতে হয় যাতে চারার নরম শিকড় চাপে ছিঁড়ে না যায়। চারা লাগানোর পর ৩ থেকে ৪ দিন ঢাকনা দিয়ে চারাকে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে হবে এবং সকাল-বিকাল চারার গোড়ায় জল দিতে হবে। প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে এবং মাঝে মাঝে চারার গোড়ার মাটি হালকাভাবে আলগা করে দিতে হবে।

গোড়া পচা, আগা পোড়া দেখা দিলে গাছ তুলে ফেলতে হবে। জাব পোকা লেটুসের খুব ক্ষতিকর। কীটনাশক স্প্রে করতে হবে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী। কীটনাশক ছিঁটানোর ৭ দিনের মধ্যে লেটুস খাওয়া যাবে না। লেটুসের পাতায় কখনো কখনো ‘ছাতা’ রোগ দেখা দিতে পারে।

এ রোগ দেখা দিলে গাছের পাতা নুইয়ে পড়ে এবং পাতার অগ্রভাগ পুড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত গাছ অবশ্যই ধ্বংস করে ফেলতে হবে। তবে বীজ ও মাটি শোধন করে এ রোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

টবে চারা লাগানোর পরপরই অনেক সময় দেখা যায় চড়াই শালিক, বাবুই ইত্যাদি ছোট ছোট পাখি চারার কচি পাতা এবং ডগা খেয়ে ফেলে, অনেক ক্ষেত্রে চারা উপড়ে ফেলে।

সেক্ষেত্রে দু’চারটা ছিদ্রবিশিষ্ট পাতলা পলিথিন কাগজ বা লোহার নেট দিয়ে আলতোভাবে টবেটি ঢেকে রাখতে হবে। তাছাড়া শুকনো পাতা বা রোগাক্রান্ত অংশ ছেঁটে ফেলতে হবে।

চারা লাগনোর এক মাসের মধ্যেই লেটুস পাতা খাওয়ার উপযোগী হয়।

আরও পড়ুন: Gardening in Monsoon: বর্ষায় আপনার প্রিয় গাছের যত্ন যেভাবে নেবেন…

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest