কলকাতার নিউ আলিপুরে নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে রহস্য। পরিবারের দাবি, ভূতের ভয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের নাবালিকার।
বাথরুমের মধ্যে পড়ে রয়েছে বাচ্চা মেয়েটির নিথর দেহ। চোখেমুখে তখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। সে নাকি কয়েকদিন ধরে ভূতের ভয় পাচ্ছিল! দাবি পরিবারের! আরও দাবি, ভূতের ভয়েই নাকি মৃত্যু! অবাক করা কাণ্ড নিউ আলিপুরের অভিজাত পরিবারে।
আজকের যুগে দাঁড়িয়ে একটা বাচ্চা কেবল ভূতের ভয় পেয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল! পরিবার যা বলছে তা নিয়ে সন্দেহ ছিলই, কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই গোটা ঘটনা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।পরিবারকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ১০ বছর বয়সী মেয়েটির গলায় আঙুলের ছাপ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : অনেক সেলিব্রিটিই করোনা এনেছেন’, বিগবি প্রসঙ্গে দিলীপ-বচন
তবে কি গলা টিপে খুন করা হয়েছে তাকে? এক্ষেত্রেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। কারণ চিকিত্সকরা বলছেন, গলা টিপে খুন করতে গেলে আঙুলের ছাপ যতটা গভীর হয়, এক্ষেত্রে সেটা নেই। অত্যন্ত হালকাভাবে রয়েছে সেই দাগটা।পরিবার বলছে, বেশ কিছুদিন ধরেই কোনওভাবে ভূতের আতঙ্ক দানা বেঁধে ছিল তার মনে। স্বপ্ন তো দেখতই, জেগে থাকলেও মাঝেমধ্যে ভয় পেতে যেত সে। বাথরুমে একা যেতেও ভয় পেত। নানা রকম অস্বাভাবিক আচরণ করছিল সে। রবিবার শৌচাগারে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তখন তাঁর চোখ যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। বাথরুম থেকেই রহস্যজনকভাবে তার দেহ উদ্ধার হয়।
আপাতত পরিবারের সদস্যদের নিউ আলিপুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই শিশুটির বাড়িতে এক যুবকও আসত, তাকেও থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যৌন নিগ্রহের কোনও ঘটনা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।পুলিশ যদিও পরিবারের দাবি মানছে না। ভূতের ভয়ে দিনে দুপুরে কারও মৃত্যু হতে পারে এই তত্ত্ব হজম হচ্ছে না গোয়েন্দাদের। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
বাচ্চাটিকে ভূতের মাস্ক পরে কী কেউ ভয় দেখাত দিনরাত? তাহলে কে সে ? একটা ছোট্ট বাচ্চার সঙ্গে এরকমটা করার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? কেনই বা পরিবারের লোক মনে করছে ভুতের ভয়েই সে মারা গিয়েছে ? তারা কী কিছু লুকোতে চাইছে ? কেনই বা তারা এমনটা করছে ? তাহলে রহস্য কী ঘরেই ? এরকম বহু প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
আরও পড়ুন : LaLiga: দু’টি সর্বকালীন রেকর্ড লা লিগায়, ইতিহাস লিওনেল মেসির