কম টেস্টের সংখ্যা, মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ, রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রীয় দলের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: ফের বাংলার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি প্রথম কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের। এদিন রাজ্য ছাড়ার আগে করোনা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলা হল চিঠিতে। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলেও অভিযোগ। করোনা সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে রাজ্যকে স্বচ্ছতা বজায় রাখা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনায় মৃত্যুর হার গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি। এই পরিসংখ্যানই ইঙ্গিত দিচ্ছে: রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে। নজরদারি দুর্বল। সংক্রমিতদের খুঁজে সঠিক ভাবে চিহ্নিতও করা হয়নি। দু’সপ্তাহ কলকাতায় থাকার পর দিল্লি ফেরার আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রের পাঠানো পর্যবেক্ষক দল।

আরও পড়ুন: দু’বার গরহাজির থাকার পর এই প্রথম NAM বৈঠকে নমো, হবে করোনা নিয়ে আলোচনা

সোমবার মুখ্যসচিবকে পাঠানো ওই চিঠিতে নিজেদের চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণের একাধিক কথাই জানিয়েছেন কলকাতা-সহ চার জেলায় পর্যবেক্ষণে আসা কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। এই চিঠি থেকে ইঙ্গিত স্পষ্ট, করোনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ট দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় এই দল।পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে মৃত্যুর হার ১২.৮ শতাংশ, দেশে সর্বাধিক, টেস্টও কম, মুখ্যসচিবকে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় টিম।

ওই চিঠির শুরুতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের একরাশ অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অপূর্ব চিঠিতে লিখেছেন, গত দু’সপ্তাহ ধরে তাঁরা গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। প্রথমেই তিনি মুখ্যসচিবের কাছে অভিযোগ করেছেন, শুরু থেকে কেন্দ্রীয় দলের প্রতি শত্রুমনোভাবাপন্ন আচরণ করেছে রাজ্য। অপূর্বের দাবি, তিনি রাজ্যকে মোট সাতটি চিঠি দিয়েছেন। বিভিন্ন দফতরের সচিব-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। বেশ কিছুও তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিবের সঙ্গে এক দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলার সুযোগ পাওয়ার বাইরে অন্য কোনও আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি কেন্দ্রীয় দলের ওই প্রধান। তাঁর অভিযোগ, অধিকাংশ তথ্যই হাতে আসেনি।

চিঠিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষ সচিব, অপূর্ব চন্দ্র লিখেছেন, ‘‘৩০ এপ্রিলে রাজ্য সরকার প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭২, মারা গিয়েছেন ৩৩ জন এবং রোগমুক্ত হয়েছেন ১৩৯ জন। সব মিলিয়ে ৭৪৪ জন। ওই একই দিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবকে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ পরিসংখ্যান  থেকে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৯৩১ জন। অর্থাৎ দু’টি পরিসংখ্যানে পার্থক্য ১৮৭ জনের।” অপূর্ব চন্দ্র জানিয়েছেন, রাজ্যের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ৭২ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে। সেই সংখ্যার কোনও উল্লেখ নেই ৭৪৪ জনের হিসাবে। অপূর্ব চন্দ্র তাঁর চিঠিতে মন্তব্য করেছেন, ‘‘রাজ্যের উচিত, কোভিড সংক্রান্ত তথ্যের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখা। সেই সঙ্গে ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা ছোট করে দেখা উচিত নয় রাজ্যের।” এই প্রসঙ্গে চিঠিতে বলা হয়েছে, মে মাসের প্রথম দু’দিনের কোভিড বুলেটিনে মোট মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

তবে সমালোচনার পাশাপাশি, রাজ্যের সাম্প্রতিক কয়েকটি উদ্যোগের প্রসংশাও করা হয়েছে অপূর্ব চন্দ্রের এই চিঠিতে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্য খুব দ্রুত নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়েছে। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত যেখানে রাজ্যে গড়ে ৪০০টি পরীক্ষা হত, সেখানে ২ মে পরীক্ষার সংখ্যা ২ হাজার ৪১০। কোভিড আক্রান্তের মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৩০ এপ্রিল রাজ্যের ঘোষণারও প্রশংসা করা হয়েছে। রাজ্যের ৬টি পরীক্ষাগারে ‘পুল টেস্ট’ শুরু করা নিয়েও প্রশংসা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি আছে দেহে! দাবির পরেই পার্টিতে হাজির পপস্টার ম্যাডোনা

Gmail
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest