ওয়েব ডেস্ক: গত কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শব্দটা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে আচমকাই সেটা শীর্ষ ট্রেন্ডে পৌঁছে গেল। #Covidiot। শব্দটা নিয়ে নেটিজেনদের কৌতূহলের অন্ত নেই।
আরও পড়ুন: এবার হিমাচল প্রদেশে করোনার বলি ১, দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, আক্রান্ত ৪৬৭
অবশ্য শব্দটা নেটিজেনরাই আবিষ্কার করেছেন। শব্দটা সন্ধি করলে দুটো শব্দ বেরোয়, কোভিড (Covid 19) এবং ইডিয়ট।নেটিজেনরা ‘কোভিডিয়ট’দের দু’ভাগে ভাগ করেছেন। এক দল, যাঁরা কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না, লকডাউন থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় জড়ো হচ্ছেন। আর অন্য দল, যাঁরা এতটাই আতঙ্কিত যে দোকান থেকে কার্যত একাই সব মালপত্র কিনে নিয়ে মজুত করছেন।
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে, বাকি রোগীদের অন্যত্র সরানোর নির্দেশ
রবিবার ‘জনতা কার্ফু’-র মধ্যেই বিকেল ৫টায় নিজের বাড়ির বারান্দা বা দরজায় দাঁড়িয়ে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাইকর্মীদের অভিনন্দন জানাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে একথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাততালি দিয়ে বা ঘণ্টা – থালা বাজিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন চিকিৎসাব্রতীদের।
প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশে অত্যুৎসাহী কিছু লোক কাঁসর-ঘণ্টা নিয়ে রবিবার বিকেলে এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। ঠিক পাঁচটা বাজতেই জায়গায় জায়গায় জড়ো হতে শুরু করেন অনেকে। কেউ সঙ্গে এনেছিলেন কাঁসর-ঘণ্টা। কেউ আবার হাতা-খুন্তি সহযোগে হাঁড়ি বা গামলা। কোথাও শোনা যায় ‘জয় মা করোনা’ ধ্বনি। তফাতে দাঁড়িয়ে সে সব বাজানো তো দূর, অনেককেই দেখা গিয়েছে, সে সব বাজাতে বাজাতে একে অন্যের গায়ে ঢলে পড়ছেন আনন্দে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে যেখানে, সেখানে এই স্পর্শ কতটা নিরাপদ? বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন ভিডিয়ো আপলোড করেছেন সাধারণ মানুষ। এই ধরণের কিছু মানুষকে ‘কোভিডিয়ট’ নাম দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতার অনুরোধে সাড়া, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে সমস্ত ঘরোয়া উড়ান
এছাড়া সোমবার সকাল থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিকেল থেকে কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন। ফলে সকাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক যথেষ্ট। জিনিসপত্র মজুত করার জন্য দোকান-বাজারে ভিড় করেছেন সবাই। যদিও সরকারের তরফে বার বার বলা হচ্ছে বাজার এবং অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের দোকান কোনো ভাবেই বন্ধ হবে না। তবুও যে শোনে কার কথা! আর সম্ভবত সেই কারণেই টুইটারে এ দিন ট্রেন্ড করছে এই নতুন শব্দটি। এছাড়াও এদিন ট্রেন্ড করেছে #stupidity শব্দটিও।