শনিবার সকাল থেকেই টুইটারে ট্রেন্ডিং আমির খান (Aamir Khan)। তার প্রথম কারণ হল আমিরের আগামী ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’র (Lal singh chaddha) মুক্তির তারিখ প্রকাশ পেল। জানা গিয়েছে, আগামী বছর ১৪ এপ্রিল মুক্তি পাবে আমিরের এই ছবি। তবে শুধুই এই কারণই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে ছড়িয়েছে, বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট নাকি ফের বিয়ে করতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, তৃতীয়বার বিয়ের জন্য নাকি অল্প অল্প করে তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছেন আমির খান।
তবে তৃতীয় বিয়ের খবরটি একেবারেই মিথ্যে সেটি জানিয়েছেন আমির খোদ। এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং লোকমুখে রটানো বলেই জানিয়েছেন অভিনেতা। সঙ্গেই ভীষণভাবে অবাক তিনি।
আমির ও কিরণের বিবাহবিচ্ছেদের খবর পাওয়ার পর স্বভাবতই বলিউডে শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা। ঠিক কী কারণে ১৫ বছর পর কিরণ ও আমির এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়েও নানা খবর ঘুরেছে বলি পাড়ায়। তবে এসবের মাঝে নিন্দুকদের নজর গিয়ে ঠেকেছে আমিরের ‘দঙ্গল’ ছবি থেকে বলিউডে পা রাখা অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখের (Fatima sana shaikh) দিকে! অনেকের দাবি ফতিমার প্রতি আমিরের দুর্বলতাই নাকি এই ডিভোর্সে অনুঘটক রূপে কাজ করেছে।
২০১৬ সালে মুক্তি পায় আমিরের দঙ্গল (Dangal) ছবি। এই ছবিতে সুন্দরী ফতিমা সানা শেখকে সুযোগ দেন আমির। শোনা যায়, ফতিমার অডিশন দেখে আমিরই সবুজ সংকেত দেখিয়েছিলেন। তারপর থেকেই আমির-ফতিমাকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু। বলিউডের নানা পার্টিতে আমিরের সঙ্গে দেখা যেত ফতিমাকে। আমিরের হাতে হাত দিয়ে মুম্বইয়ের বহু জায়গাতেই ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে ফতিমা ও আমিরকে। এ খবর কিরণ রাওয়ের কানেও গিয়ে পৌঁছায়। তবে এই গুঞ্জন আরও বেড়ে যায়, আমিরের কথাতে আদিত্য চোপড়ার ‘ঠগস অফ হিন্দুস্তান’ ছবিতে ফতিমার সুযোগ পাওয়ার পর থেকে। শোনা যায়, বহু প্রযোজক ও পরিচালককেও নাকি আমির নিজে ফোন করে ফতিমাকে সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন। নিন্দুকেরা মনে করছেন ফতিমার প্রতি আমিরের এই প্রেমই ধীরে ধীরে কিরণ রাওয়ের সংসারে আগুন লাগায়। আর যার ফল এই বিবাহবিচ্ছেদ।
এই বিয়ের গুজবের পর থেকেই অভিনেত্রী ফাতিমা সানাকে নানান ধরনের কটু কথা থেকে , কুরুচিকর মন্তব্য অনেক কিছুই শুনতে হয়েছে। তিনি এমনও জানান, ঘটনার সত্যি মিথ্যে না জেনেই মানুষ তার সম্পর্কে অহেতুক খারাপ কথা বলছে। আর যারা নতুন করে জানছেন তাদের চোখে খারাপ হয়ে যাচ্ছেন ফাতিমা। তিনি বলেন, ‘আমায় জিজ্ঞেস করলেই সঠিক তথ্য আমি দিতে পারি, অযথা কারওর জীবন নিয়ে গুজব ছড়ানো কোনও মহান কাজ নয়।’