#HappyBirthdayKatrinaKaif: আউটসাইডার থেকে বলিউডের ইনসাইডার হয়ে ওঠার কাহিনী…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দেখতে দেখতে জীবনের আরও এক বসন্ত পার করে ফেললেন বলিউডের ‘চিকনি চামেলি’ ক্যাটরিনা কাইফ। আজ ক্যাটের ৩৭তম জন্মদিন। ভাবতে অবাক লাগলেও বলিউডেও দেখতে দেখতে ১৭ বছর পার করে ফেলেছেন ক্যাটরিনা। ক্যাট শুধু ইন্ডাস্ট্রির আউট সাইডার নন, তিনি ভিন দেশি। সেখান থেকে আজ বলিউডের অন্যতম হাইয়েস্ট পেইড নায়িকা ক্যাটরিনা।

https://www.instagram.com/p/CBumsFch16L/

১৯৮৩ সালের ১৬ জুলাই হংকং-এ জন্ম ক্যাটরিনার। বলিউডে তিনিও শুরু করেছিলেন একজন আউটসাইডার হিসেবেই। কিন্তু নিজের প্রতিভা এবং কঠিন পরিশ্রমের জোরে আজ তিনি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী। তবে তাঁর এই দীর্ঘ সফর মোটেই মসৃণ ছিল না। তাঁকেও নানা ওঠা পড়ার মধ্যে দিয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে হয়েছে।বলিউডে তিনি পা রাখেন ১৯৯৯ সালে Boom ছবিতে। যদিও বক্স অফিসে এই ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছিল, তবুও হার মানেননি ক্যাটরিনা। শুরুর দিকে তাঁর অভিনয় নিয়ে অনেক কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।

https://www.instagram.com/p/CBQhm7chSZm/

কেরিয়ারের শুরুতে ৯০-এর দশকে লন্ডনে মডেলিং করতেন ক্যাটরিনা। সেখানেই তাঁকে দেখেন কায়জাদ গুসতাদ এবং সিদ্ধান্ত নেন Boom ছবিতে নায়িকা করবেন। বিন্দুমাত্র হিন্দি না জানা এবং ভারতের দর্শকের মন বুঝতে না পারায় প্রায় একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যখন পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারছিলেন না, তখন তাঁর হাতে আসে তেলুগু ছবি Malliswari -র অফার। এছাড়াও তাঁকে রাম গোপাল বর্মার Sarkar ছবিতেও দেখা গিয়েছিল ছোট্ট একটি চরিত্রে। দেখতে সুন্দরী হলেও, তাঁর অভিনয়ের উপর ভরসা রেখে কোনও প্রযোজকই অর্থ বিনিয়োগ করতে ভরসা পেতেন না।

আরও পড়ুন: বউয়ের চেনা সাজে ভিন্নতা আনে টায়রা কিংবা ঝাপটা…দেখুন ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হওয়া কিছু ছবি

https://www.instagram.com/p/B9n3jP5hBgR/

তাঁর জীবনে বড় বদল আসে ২০০৫-২০০৬ সালে, যখন তিনি কাজ শুরু করেন সলমান খান এবং অক্ষয় কুমারের সঙ্গে। তাঁর কেরিয়ারকে আজকের শিখরে নিয়ে যাওয়ার পিছনে বড় অবদান রয়েছে বলিউডের এই দুই তারকার। ২০০৫ সালে সলমানের সঙ্গে তাঁর প্রথম ছবি ছিল Maine Pyaar Kyun Kiya। ছবিতে তাঁর গলা ডাবিং করাতে হলেও, নজর কাড়ে ক্যাটের স্ক্রিন প্রেজেন্স। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২০০৭ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে পর পর দুটি ছবি মুক্তি পায় তাঁর— Namaste London এবং Welcome। দুটিই বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখে।

https://www.instagram.com/p/B9OIZ2bh4xI/

 

এরপর ২০০৮ সালে আসে অক্ষয়ের সঙ্গে Singh Is Kingg। ২০০৯ সালে জন আব্রাহামের বিপরীতে কবির খান পরিচালিত New York তাঁর কেরিয়ারকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। প্রশংসিত হয় ক্যাটের অভিনয়ও। পরিচালক-প্রযোজকরাও যেন খুঁজে পান এক অন্য ক্যাটরিনাকে। পরবর্তী সময়ে সলমান খানের সঙ্গে Ek Tha Tiger এবং Tiger Zinda Hai তাঁর অভিনয় জীবনের অন্যতম ল্যান্ডমার্কও বলা যেতে পারে।

https://www.instagram.com/p/BzsDyphBjTk/

 

যশ চোপড়ার শেষ ছবির নায়িকা হয়েছেন ক্যাটরিনা। যব তক হ্যায় জানে শাহরুখের সঙ্গে রোম্যান্স করেছেন। নিজের ফিল্মি কেরিয়ারে তিন খানের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন ক্যাট। তা কম বড় প্রাপ্তি নয় ক্যাটরিনার জন্য। প্রকাশ ঝা’র রাজনীতিতে (২০১০) নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখেছিলেন ক্যাটরিনা। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শুধু সুন্দর রূপ কিংবা নাচ নয় অভিনেত্রী হিসাবেও তিনি দক্ষ।

https://www.instagram.com/p/ByHcmvyhEDG/

ধুম থ্রি, জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা, -একাধিক ব্লকবাস্টার ছবির মুখ ক্যাটরিনা কাইফ। তাঁর মা ব্রিটিশ অন্যদিকে বাবা কাশ্মিরী বংশোদ্ভূত হলেও ব্রিটিশ। সাত ভাই-বোনের মধ্যে চার নম্বরে রয়েছেন ক্যাটরিনা। ক্যাটের তিন দিদি, এক দাদা এবং তিন বোন রয়েছে।

https://www.instagram.com/p/BvlXkgVAhc2/

বক্স অফিসে ক্যাটরিনার পরবর্তী রিলিজ হতে চলেছে সূর্যবংশী। রোহিত শেট্টির এই কপ ফিল্মে ফের একবার অক্ষয়-ক্যাটরিনা জুটি। মার্চ মাসেই মুক্তির কথা ছিল এই ছবির। তবে করোনার জেরে মুক্তি পিছিয়েছে। দিওয়ালিতে সূর্যবংশী নিয়ে হাজির হবেন অক্ষয়-ক্যাটরিনা।

আরও পড়ুন: নগ্ন ফটোশুট! নেটদুনিয়ায় ঝড় তুললেন রামগোপাল ভার্মার ‘আবিষ্কার’ অপ্সরা ও রক

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest