সুশান্তের সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনে ছিলেন! বিয়ের কথা চলছিল, পুলিশি জেরায় নতিস্বীকার রিয়ার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest:  সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে বৃহস্পতিবার বান্দ্রা থানায় গিয়ে গোপন জবানবন্দি দেন অভিনেতার চর্চিত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। প্রায় ৯ ঘন্টার টানা জেরার পর নতিস্বীকার করেন রিয়া। তাঁর বয়ানে স্বীকার করেছেন, সুশান্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। তিনি আরও জানিয়েছেন,  এ বছরের শেষের দিকে তাঁদের বিয়ের খবর, একেবারেই মিথ্যে নয়, সত্যি! সে জন্য চলছিল বাড়ি খোঁজাও। তবে ভাড়া নয়, দুজনে মিলে একটি ফ্ল্যাট কিনতই চেয়েছিলেন।

শুধু সম্পর্কেই নয়, লিভ-ইন রিলেশনে ছিলেন তাঁরা। লকডাউনের একটা দীর্ঘ সময় সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকছিলেন রিয়া-সুশান্ত। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুর দিন কয়েক আগে আচমকাই তাঁর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় রিয়ার। রিয়া বেরিয়ে আসেন এবং আলাদা থাকতে শুরু করেন। তবে তাঁদের মধ্যে যে একেবারেই কথাবার্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এমন নয়। প্রতিদিন টেক্সট, ভিডিয়ো কল এসব হত। এমনকী সুশান্ত রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে রিয়াকে ফোন করতেন। তাঁদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা হলেও কখনও কথা বন্ধ হয়নি। শনিবারও সুশান্ত শেষ ফোন করেছিলেন রিয়াকেই। সুশান্তের ঘনিষ্ঠরাও জানিয়েছেন, প্রতিদিন নিয়ম করে সুশান্ত রিয়াকে একটা ফোন করতেন।

আরও পড়ুন: Bulbbul Trailer: রহস্যের হাতছানি, অন্যরূপে নজর কাড়লেন পাওলি, দেখুন…

রিয়ার ফোন স্ক্যান করে পাওয়া গিয়েছে দু’জনের ব্যক্তিগত মুহূর্তের অসংখ্য ছবি, টেক্সট মেসেজ। রিয়ার মোবাইল স্ক্যান করা হয়, ওই ফোন থেকে কোনও ছবি, ভিডিয়ো মুছে দেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে পুলিস 

রিয়ার বয়ানে বারে বারেই উঠে এসেছে সুশান্তের আচরণগত পরিবর্তনের কথা। রিয়া পুলিশকে প্রমাণ দেখিয়েছেন, কী ভাবে ব্যবহার বদলে যাচ্ছিল সুশান্তের। অবসাদ কাটানোর চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। রিয়া বার বার অনুরোধ করলেও ওষুধ খেতে চাইতেন না সুশান্ত। এর আগে একই কথা জানিয়েছিলেন রিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, লেখিকা সুহৃতা সেনগুপ্তও। তিনি বলেছিলেন, রিয়া এবং সুশান্তের দিদি অভিনেতাকে ওষুধ খাওয়ার জন্য অনুরোধ করে গেলেও, তা শোনেননি তিনি।  

সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই সমানে উঠে আসছিল তাঁর পর পর নতুন ছবি হাতে না থাকার প্রসঙ্গ। কিন্তু রিয়ার বয়ান বলছে, অভিনেতার হাতে কাজ ছিল না, এমনটা নয়।  সুশান্তের সঙ্গে তাঁর নিজেরই অন্তত দু’টি ছবি করার কথা ছিল। যা শেষ হতে হতে লেগে যেত পরের বছর। খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে রিয়া এবং সুশান্তের যাবতীয় হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট, কলরেকর্ডও। গতকাল সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ  সাদা পোশাকে, মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরে বান্দ্রা থানায় আসেন রিয়া। ক্লান্ত, বিধ্বস্ত রিয়ার থানা থেকে বেরতে দেখতে সন্ধে গড়িয়ে যায়। 

সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। সেই তালিকায় কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া থেকে মহেশ শেট্টি, সুশান্তের অফিসের লোকজন, রাঁধুনি, পরিচারিকা, আবাসনের কেয়ারটেকার সকলেই আছেন। পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন সুশান্তের চিকিৎসক হিন্দুজা হাসপাতালের বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কেরসি চাওলা।

তিনি জানিয়েছেন, রিয়ার ব্যবহারে খুশি ছিলেন না সুশান্ত। যে কোনও ব্যাপারেই রিয়া খুব বিরক্ত হত। রিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে শিলমোহর দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্টও করেছিলেন। কিন্তু জোর করে ঝামেলা-ঝাটির পর রিয়া সুশান্তকে দিয়ে ডিলিট করান সেই পোস্ট।

আরও পড়ুন: ‘অঙ্কিতার সঙ্গে ব্রেকআপ আমার জীবনের মস্ত বড় ভুল’! মনোবিদের কাছে বলেছিলেন সুশান্ত

Gmail 3

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest