World Sleep Day: আজ প্রানভরে ঘুমানোর দিন

বিশ্বের অন্তত ১০০ মিলিয়ন মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। অথচ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এর ক্ষতিকর প্রভাব শরীর এবং মনে পড়বেই।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

‘ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি/ মোদের বাড়ি এসো/ খাট নাই, পালঙ্ক নাই/ খোকার চোখে বোসো।’ খোকা দিনে দিনে বড় হয়। বড় হতে হতে বৃদ্ধ হয়। তবুও এই বুড়ো খোকার ঘুমের আয়োজন ফুরায় না। ঘুমের জন্য তখন তাকে ছুটতে হয় চিকিৎসকের কাছে। এর উল্টোটাও ঘটে। অনেকেই আছেন নরম সোফায় শরীর এলিয়ে দিয়ে দিব্যি নাক ডাকতে শুরু করেন। তাছাড়া বাঙালির ভাত ঘুম তো জগতে খ্যাত।

সেই ঘুমের জন্য একটি দিন নির্ধারণ করে দিয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিন’-এর ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে কমিটি। ২০০৮ সাল থেকে তারা মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবার ঘুম দিবস পালন করছে। সেই হিসেবে আজ (১৯ মার্চ) বিশ্ব ঘুম দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য: ‘নিয়মিত ঘুম: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’। প্রতিপাদ্যেই পরিষ্কার দিবসের উদ্দেশ্য। অর্থাৎ ঘুম যে শরীর এবং মনের জন্য কতটা জরুরি মানুষকে জানানো।

ঘুম নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। বলা যায় ঘুম-রহস্য ভেদ করতে তাদের নিজেদেরই ঘুম টুটে গেছে। তারা বলছেন, বিশ্বের অন্তত ১০০ মিলিয়ন মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। অথচ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এর ক্ষতিকর প্রভাব শরীর এবং মনে পড়বেই। যে কারণে তারা বলছেন, রাতে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। কিন্তু ওই যে বললাম, ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি সবার নয়নে এসে বসেন না। আবার বসলেও তার সুনির্দিষ্ট সময়, নিয়ম এবং পরিমাপ আছে। সব কিছু মানুষকে জানানো ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিন’ কমিটি দায়িত্ব মনে করে।

আরও পড়ুন: রাতে রুটি খান ? জানেন কি তাতেও হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ!

নিয়মিত ঘুম জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। এটি মানসিক প্রশান্তির জন্য দারুণ সহায়ক। বিশেষ করে ত্রিশোর্ধ্ব মানুষের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। তাছাড়া ঘুমের সঙ্গে স্মৃতিশক্তির যোগসূত্র রয়েছে। ঘুমের মাধ্যমে ক্লান্তি দূর হয়ে মস্তিষ্ক কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম পায়। মেজাজ ফুরফুরে থাকে। কাজে মন বসানো সহজ হয়। তাই বলে চিকিৎসাবিজ্ঞান আপনাকে ঘুমকাতুরে হতে উৎসাহিত করছে না। খনার বচনে আছে, ‘সকালে ঘুমায় আর যে সকালে ওঠে তার কড়ি বৈদ্য না লুটে।’ অর্থাৎ রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দেরিতে ঘুমালে ঘুম থেকে উঠতেও দেরি হয়।

কিন্তু কীভাবে ঘুমাবেন? কোথায়ই-বা ঘুমাবেন? এ নিয়েও রয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিন’-এর গবেষণা। তারা বলছে, চিৎ হয়ে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে শরীরের কোথাও অতিরিক্ত চাপ পড়ে না। অনেকে ঘুমানোর সময় উপুড় হয়ে ঘুমান। এ প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এতে পেট ও পাকস্থলির ওপর চাপ পড়ে। একপাশে কাত হয়ে ঘুমানোর সময় দুই হাঁটুর মাঝে ছোট কোল বালিশ রাখতে পারেন। এতে শরীরে রক্তসঞ্চালনে ভারসাম্য বজায় থাকবে। শুধু একপাশে কাত হয়ে না ঘুমিয়ে এপাশ-ওপাশ করে ঘুমাতে পারেন।

তবে হ্যাঁ, সবসময় একই জায়গায় ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে সহজেই ঘুম আসবে এবং খুব ভালো ঘুম হবে। এবং অবশ্যই জেনে রাখুন, নরম তুলতুলে বিছানার চেয়ে শক্ত বিছানা ঘুমের জন্য ভালো।

আরও পড়ুন: ইউরিনে সংক্রমণ কমাতে ঘরোয়াভাবে যা যা করণীয়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest