হাজার টানাপোড়েনের পর অবশেষে কর্ণাটকে (Karnataka) পালাবদল। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা ঘোষণা করলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা (BS Yediyurappa)। জানালেন, তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুপুরের পর রাজভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র দেবেন রাজ্যপালকে। সোমবারই কর্ণাটক সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই এই ঘোষণা করেন ইয়েদুরাপ্পা। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে লিঙ্গায়েত নেতা মুরুগেশ নিরানি।
সোমবার বেঙ্গালুরুতে নিজের সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি রাজভবনে যাব। আমার ইস্তফাপত্র জমা দেব। আমি দুঃখিত নই। আমি খুশি। ৭৫ বছর হয়ে গেলেও ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং জে পি নড্ডার প্রতি কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
আরও পড়ুন: চিনকে সবক শেখাতে লাদাখে ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করল Indian Army
এমনিতে বিজেপির নীতি অনুযায়ী, ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে নেতাদের বড় সরকারি পদে রাখা হয় না। কিন্তু লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মধ্যে জনপ্রিয়তার ‘চাপে’ দু’বছর আগে ইয়েদুরাপ্পাকেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়েছিল বিজেপি। যে সম্প্রদায়ের হাতে ১৬-১৭ শতাংশ ভোটব্যাঙ্ক আছে। কিন্তু ক্রমশ বিজেপির অন্দরে ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ক্ষোভের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন কর্নাটক বিজেপি নেতাদের একাংশ। ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া দিল্লিতে গিয়েছিলেন।
গত ১৮ তারিখ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করেন ইয়েদুরাপ্পা। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় তাঁর। যদিও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তিনি রাজ্যের কয়েকটি প্রকল্প নিয়েই কথা বলতে দিল্লি এসেছেন। সেদিনও উড়িয়ে দিয়েছিলেন ইস্তফার গুঞ্জন। কিন্তু রবিবারই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাজ্যের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতেই তিনি ইস্তফা দিতে পারেন। সেইমতো সোমবারই তা চূড়ান্ত হল।
আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: নতুন করে ‘হিন্দুত্ব’ তাস? ২০২২-এর নির্বাচনে অযোধ্যার প্রার্থী হচ্ছেন যোগী?